এলএ শাখার সার্ভেয়ার খাজা উদ্দিন গ্রেপ্তার

দায় স্বীকার করে জোহুরার জবানবন্দি

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১১ নভেম্বর, ২০২১ at ৭:১৮ পূর্বাহ্ণ

জেলা প্রশাসনের এলএ (ভূমি অধিগ্রহণ) শাখা থেকে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ক্ষতিপূরণের ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ চেষ্টা মামলায় এবার এলএ শাখার সার্ভেয়ার খাজা উদ্দিন (৩৮) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালী থানার সৈয়দপুর এলাকার মৃত আলী আহম্মদের ছেলে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর লালদীঘি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশের একটি টিম এবং গতকাল বুধবার আদালতে সোপর্দ করে তার ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে মহানগর হাকিম শফি উদ্দিন ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিকে আগে গ্রেপ্তার তিন জনের মধ্যে জোহুরা রিমান্ড শেষে একই আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালতের প্রসিকিউশন শাখার সূত্র আজাদীকে এসব তত্য নিশ্চিত করেন। জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ক্ষতিপূরণের ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ চেষ্টা হয়েছে, এমন অভিযোগে গত ৮ নভেম্বর জেলা প্রশাসনের অফিস সহকারী মো. আনোয়ার হোসেন একটি মামলা করেন। কোতোয়ালী থানা পুলিশ জোহুরাসহ তিনজনকে সেদিনই কঙবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। জোহুরা ছাড়া বাকী দুজন হলেন- জোহুরার বাবা উসমাণ গণি এবং বাশঁখালীর এসি ল্যান্ডের চেইনম্যান নেজামুল করিম। মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, জোহুরা মূলত, পটিয়ার ডাঙ্গারচরের ডাবল পাইপ লাইন প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ হওয়া ৭৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ জমির রেজিস্ট্রার্ড পাওয়ার অব অ্যাটর্নি মূলে ক্ষতিপূরণ চেয়ে এলএ শাখায় একটি আবেদন করেন। সকল প্রকার যাচাই-বাছাই শেষে এলএ শাখা থেকে তার নামে একটি চেক ইস্যু করা হয়। কিন্তু জোহুরা যমুনা ব্যাংক, জুবিলী রোড শাখার পরিবর্তে রূপালী ব্যাংক টেরিবাজার শাখায় চেক ইস্যু করতে আবেদন করলে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা পাওয়ার দাতাদের পরিচয় ও তার সাথে ওই নারীর সম্পর্কের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি অসংলগ্ন উত্তর দেন। তিনি বলেন, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দাতাদের তিনি চেনেন না। তার স্বামী মূলত তার পক্ষে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিল সম্পাদন করেন। একপর্যায়ে তার স্বামীর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, স্বামী প্রবাসী, দুইমাস ধরে তার সাথে কোনো যোগাযোগ নেই। পরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে লোক মারফত পাওয়ার দাতাদের সম্পর্কে অনুসন্ধান করা হয়। পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দলিলে বর্ণিত ঠিকানায় আবুল কালাম শামসুদ্দিন ও আবু হেনা মোস্তফা কামাল নামের দুইজন লোকের সন্ধান পাওয়া যায়। তারা উভয়েই জানান, তারা জোহুরা নামের কাউকে জমির ক্ষতিপূরণ উত্তোলনের জন্য কোনো প্রকার ক্ষমতা অর্পণ করেননি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঝরেই গেল প্রাথমিকের সাড়ে ১১ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী
পরবর্তী নিবন্ধফটিকছড়িতে পোস্টার লাগানো নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১০