এমআরআই মেশিন কেনাসহ সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস

মা ও শিশু হাসপাতালে অত্যাধুনিক আইসিইউ ওয়ার্ড উদ্বোধনে ভূমিমন্ত্রী

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৮ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৭:৫৩ পূর্বাহ্ণ

দেশের বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় আইসিইউ উদ্বোধন করে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি বলেছেন, গত চল্লিশেরও বেশি সময় ধরে মা ও শিশু হাসপাতাল চট্টগ্রামে চিকিৎসাক্ষেত্রে যে অনন্য ভূমিকা রেখেছে তা অতুলনীয়। শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়নই নয়, চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়নেও আরো বেশি করে মনোনিবেশ করতে হবে। যাতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের ভরসার জায়গা হয়ে উঠতে পারে এই হাসপাতাল। তিনি হাসপাতালের এমআরআই মেশিন কেনাসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ডে সহায়তা করার আশ্বাস প্রদান করেন। হাসপাতালের পাশের ছোট্ট একখণ্ড খাস জায়গা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে শুনে তিনি জায়গাটি হাসপাতালের নামে বরাদ্দ দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দেন।

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের নতুন ভবনে ৩০ শয্যা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক আইসিইউ ওয়ার্ড গতকাল সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর এম এ তাহের খানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন, জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদ, এনেসথেসিওলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর অলক নন্দী, আইসিইউ বিভাগের ইনচার্জ ডা. মাহাদী হাসান।

প্রধান অতিথি সাইফুজ্জামান চৌধুরী এমপি বলেন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল চট্টগ্রামে বেসরকারি পর্যায়ে একটি শীর্ষস্থানীয় হাসপাতাল। এটি চট্টগ্রামবাসীর হাসপাতাল। চট্টগ্রামের আপামর জনসাধারণ, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি থেকে শুরু করে সবাই এই হাসপাতালের উন্নয়নের জন্য এগিয়ে এসেছেন। করোনাকালেও চট্টগ্রামবাসী আপনাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

আপনাদেরকেও সেবার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। যেহেতু এটি একটি চেরিটেবল হাসপাতাল তাই সব ধরনের রোগীদের সেবা প্রদানের বিষয়ে সর্বাত্মক মনোযোগ দিতে হবে। হাসপাতালের সেবার মান এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও ইনফেকশন কন্ট্রোলের বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান তিনি। এছাড়া হাসপাতালের সব ধরনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন।

ভূমি মন্ত্রী বৃহত্তর পরিসরে নতুন এই আইসিইউর মাধ্যমে এখানকার রোগীরা আরো বেশি সেবা পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি মা ও শিশু হাসপাতালের উন্নয়নে তার ব্যক্তিগত এবং সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।

বিশেষ অতিথি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান বলেন, আমি চট্টগ্রামে নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে সম্প্রতি যোগদান করেছি। আজকে আপনাদের হাসপাতালে এসে বেসরকারিভাবে পরিচালিত এই বিশাল হাসপাতাল দেখে আমি খুবই অভিভূত হয়েছি। আমি জেনেছি করোনাকালে আপনারা করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবায় প্রশংসনীয় অবদান রেখেছেন। তিনি হাসপাতালের চলমান বিভিন্ন বিষয়ে মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশনাক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন। এর আগে ভূমি মন্ত্রী ফিতা ও কেক কেটে নতুন আইসিইউর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের অনকোলজি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. নুজহাত শারমিন রুহির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দৈনিক আজাদীর চিফ রিপোর্টার হাসান আকবর, কার্যনির্বাহী কমিটির জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি সৈয়দ আজিজ নাজিম উদ্দিন, ডা. কামরুন নাহার দস্তগীর, ট্রেজারার অধ্যক্ষ ড. লায়ন মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, জয়েন্ট ট্রেজারার এস এম কুতুব উদ্দিন, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি মোহাম্মদ সাগির, সদস্য লায়ন মো. হারুন ইউসুফ, হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. নূরুল হক, ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসর অসীম কুমার বড়ুয়া, অটিজম ও শিশু বিকাশ কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর মাহমুদ আহমেদ চৌধুরী আরজু, উপপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন, উপপরিচালক (মেডিকেল অ্যাফেয়ার্স) ডা. এ কে এম আশরাফুল করিম, উপপরিচালক (প্রশাসন,আইসিএইচ) ডা. মো. আবু সৈয়দ চৌধুরী, প্রাক্তন কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলমসহ হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপকবৃন্দ, হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅপেক্ষার শেষ, দূর হচ্ছে কুতুবদিয়ার অন্ধকার
পরবর্তী নিবন্ধআন্দোলনে বাধা নেই, তবে নাশকতায় ছাড় নেই