এবার মেঘালয়ের ৮ টন চা পাতা যাচ্ছে কলকাতায়

ট্রানজিট চুক্তির ট্রায়া'ল রানের শেষ চালান চট্টগ্রাম বন্দরে

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৫ অক্টোবর, ২০২২ at ৮:০৯ পূর্বাহ্ণ

ভারতের সাথে বাংলাদেশের ট্রানজিট চুক্তির আওতায় এবার মেঘালয়ের চা পাতা যাচ্ছে কলকাতায়। ৮ টন চা পাতা ভর্তি একটি কন্টেনার সিলেটের তামাবিল হয়ে সড়কপথে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। চালানটি আগামী সপ্তাহে জাহাজযোগে কলকাতা পাঠানো হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উভয় দেশের ট্রানজিট চুক্তির ট্রায়াল রানের এটিই শেষ চালান। এই চালান গন্তব্যে পৌঁছার পর উভয় দেশ ট্রানজিটের খুঁটিনাটি নিয়ে নতুন করে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
বন্দর সূত্র জানায়, বাংলাদেশের সাথে ভারতের ট্রানজিট চুক্তির আওতায় ইতোমধ্যে কলকাতা থেকে বিভিন্ন পণ্য ভর্তি একাধিক চালান ভারতের সেভেন সিস্টারখ্যাত রাজ্যগুলোতে পরিবাহিত হয়েছে। এবার মেঘালয় থেকে চা পাতার একটি চালান সড়কপথে চট্টগ্রামে আনা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি ট্রান্স সামুদেরা জাহাজে বোঝাই করে কন্টেনারটি কলকাতার শ্যামাপ্রাসাদ মুখার্জি বন্দরে পাঠানো হবে। মেঘালয়ে উৎপাদিত চা পাতা ওই দেশের লম্বা সড়কপথে না গিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে কলকাতায় পাঠানো হচ্ছে। চালানটি কলকাতা পৌঁছালে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর দিয়ে ট্রানজিটের চারটি ট্রায়াল রান সম্পন্ন হবে। পরে ট্রানজিটের বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধা নির্ণয় করে রুট নির্ধারণ, ব্যয় ও পথের ত্রুটি-বিচ্যুতি আলোচনাসহ নানা বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে। এরপর দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ট্রানজিট শুরু হবে।
সূত্র জানায়, পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে কোনো পণ্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যে পাঠাতে গেলে সড়কে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়। এতে কলকাতা থেকে আসাম, ত্রিপুরা কিংবা মেঘালয়সহ সন্নিহিত অঞ্চল থেকে কোনো পণ্য কলকাতায় পরিবহন করতে গেলে প্রচুর সময় ও অর্থ ব্যয় হয়। এই সংকট সুরাহার জন্য উভয় দেশের মধ্যে ট্রানজিট চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর এবং সড়কপথ ব্যবহার করে ভারত তাদের এক অঞ্চলের পণ্য অন্য অঞ্চলে পরিবহন করবে।
বাংলাদেশি শিপিং এজেন্ট ম্যাংগো লাইনের ব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান গত রাতে আজাদীকে জানান, মেঘালয়ের ৮ টন চা পাতা ভর্তি একটি কন্টেনার চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। আমাদের জাহাজটি দিয়ে এই কন্টেনার কলকাতায় পাঠানো হবে। জাহাজে কিছু মেরামত কাজ রয়েছে। এটি সম্পন্ন করার পর অন্যান্য পণ্যের সাথে ৮ টন চা পাতাও কলকাতায় পাঠানো হবে।
তিনি বলেন, এটি ট্রানজিটের ট্রায়াল রানের শেষ চালান। মেঘালয়ের ডাউকি থেকে লরিতে বোঝাই করে কন্টেনারটি সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর হয়ে কাস্টমসের পাহারায় সড়কপথে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। মেঘালয় থেকে এই ধরনের চালান চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে কলকাতা যাওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পাদিত ‘অ্যাগ্রিমেন্ট অন দ্য ইউজ অব চট্টগ্রাম অ্যান্ড মোংলা পোর্ট ফর মুভমেন্ট অব গুডস টু এন্ড ফরম ইন্ডিয়া’ চুক্তির আওতায় চারটি ট্রায়াল রান সম্পন্ন হচ্ছে। ২০২০ সালে এমভি সেঁজুতি জাহাজে কলকাতা বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে ট্রানজিটের চার কন্টেনার আনার মাধ্যমে এই ট্রায়াল রানের সূচনা হয়েছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকর্ণফুলীতে আ. লীগের মনোনয়ন পেলেন ফারুক চৌধুরী
পরবর্তী নিবন্ধদেশের অর্ধেক অংশে দুর্ভোগ