মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কাল। এ উপলক্ষে এবার নগরীর মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সের সামনের শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় জেলা প্রশাসন বিকল্প এ উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার পিযুষ কুমার চৌধুরী। তিনি বলেন, একুশের প্রথম প্রহরে (রাত ১২টা ১ মিনিটে) পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শুরু হবে শ্রদ্ধা নিবেদন। প্রতিটি সংগঠনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পাঁচজন ও ব্যক্তি পর্যায়ে একসাথে সর্বোচ্চ দুজন পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। তিনি বলেন, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনসমূহে সঠিক নিয়মে, সঠিক রঙ ও মাপে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা ছাড়াও এদিন গ্রহণ করা হয়েছে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির উদ্যোগ। এর মধ্যে রয়েছে- সকাল ৭টায় শহীদ মিনারের উদ্দেশ্যে প্রভাতফেরি; সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শুদ্ধ বানান, হাতের সুন্দর লেখা ও কুইজ প্রতিযোগিতা; সকাল ১১টায় চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা;
দুপুরের সুবিধাজনক সময়ে মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় ভাষা শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও প্রার্থনা অনুষ্ঠান এবং সন্ধা সাড়ে ৬টায় শিল্পকলা একাডেমিতে স্মৃতিচারণ, আলোচনা সভা, মাতৃভাষায় কবিতা আবৃত্তি, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সুবিধাজনক সময়ে মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল ও আউটার স্টেডিয়ামে ভাষা আন্দোলন সংশ্লিষ্ট সংবাদ, আলোকচিত্র ও ভিডিও প্রদর্শনী আয়েজিত হবে।
জেলা প্রশাসন আরো জানায়, এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে স্ব-স্ব কর্তৃপক্ষ ও একুশ বাস্তবায়নে গঠিত উপ-কমিটিগুলো।