কক্সবাজারের চকরিয়ার মালুমঘাটে পিকআপ চাপায় ৬ ভাই নিহতের ঘটনায় এবার গ্রেপ্তার হলেন পিকআপটির মালিক মাহমুদুল করিম বাদল (৪০)। গত সোমবার দিবাগত রাতে চকরিয়ার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের সাহেবখাঁন পাড়ার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। গ্রেপ্তার বাদল ওই এলাকার শামশুল আলমের ছেলে। এর আগে ঢাকা থেকে র্যাব গ্রেপ্তার করে পিকআপটির চালক সাহিদুল ইসলাম প্রকাশ সাইফুলকে (২২)। তিনি বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের সাপেরগাড়া গ্রামের মো. আলী জাফরের ছেলে। নতুন তদন্তভার পাওয়া পিবিআই কক্সবাজারের উপ-পরিদর্শক মো. এনামুল হক দৈনিক আজাদীকে বলেন, ঘাতক পিকআপ চালকের পর গত সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মালিককেও। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ মঙ্গলবার (গতকাল) আদালতে সোপর্দ করা হলে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিচারক। তার রিমান্ড আবেদনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এজন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। চালককে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মালিকেরও রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে আদালতে।
স্বজনদের পাশে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী : এদিকে পিকআপ চাপায় নিহত ৬ ভাইয়ের স্ত্রীসহ ৮ পরিবারকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থসহায়তা দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর হাতে সহায়তা তুলে দেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খাঁন এমপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও খুলনা-৫ আসনের এমপি নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, স্থানীয় সংসদ সদস্য জাফর আলম, দিনাজপুর-১ আসনের এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপাল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাবেক সচিব ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অশোক মাধব রায় প্রমুখ। এদিন কঙবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলমের সহধর্মীনি শাহেদা জাফরের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে নগদ ১ লাখ প্রদান করা হয়।
চকরিয়ার ইউএনও জেপি দেওয়ানের সভাপতিত্বে ও এসি ল্যান্ড মো. রাহাত উজ-জামানের সঞ্চালনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারবর্গকে অর্থ সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী। এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এত বড় ঘটনা আর একটা ঘটেছে কী-না আমাদের জানা নেই। আমরা আজ ক্ষতিগ্রস্ত ৮ পরিবারের প্রত্যেককে ৫০ হাজার করে চার লাখ টাকা দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকেও শীঘ্রই বড় অংকের অর্থসহায়তা দেয়া হবে। স্থানীয় সাংসদ জাফর আলম বলেন, যতদিন বেঁচে আছি, এই পরিবারের দেখভাল করার দায়িত্ব আমি নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছি।