এবার উড়ন্ত চাকি যাবে চাঁদে, গ্রহাণুতে

| মঙ্গলবার , ৪ জানুয়ারি, ২০২২ at ১০:৩৩ পূর্বাহ্ণ

চাকায় চলা রোভারের পরিবর্তে আগামী দিনে উড়ন্ত চাকি (‘ফ্লাইং সসার’) পাঠানো হতে পারে চাঁদে, গ্রহাণুতে। যে সব গ্রহে কোনো বায়ুমণ্ডলের অস্তিত্ব নেই। ভিনগ্রহীদের যানের যে সব ছবি আমাদের চোখে ভাসে, অনেকটা তেমনই দেখতে। সেই উড়ন্ত চাকির মতো দেখতে রোভার চলবে সৌরশক্তিতে।
বিজ্ঞানীদের মতে, মূলত দু’টি কারণে চাঁদে ও গ্রহাণুতে আগামী দিনে এই ধরনের রোভার পাঠানোর কথা ভাবা হয়েছে। প্রথমত, আকাশে বিমান থেকে যেমন নীচের অনেক বেশি এলাকা দেখা সম্ভব হয়, তেমনই এই ধরনের রোভার থেকে চাঁদ ও গ্রহাণুর অনেক বেশি এলাকা একই সঙ্গে দেখা যাবে। দ্বিতীয়ত, চাঁদ ও গ্রহাণুর পিঠ (‘সারফেস’) এতই অসমতল যে, সেখানে রোভার বেশি দূর চালানো সম্ভব হয় না। তাছাড়াও সেখানে রয়েছে ছোটখাটো বহু পাহাড়। সেই দুর্গম এলাকায় রোভার চালানো খুব মুশকিল। ফ্লাইং সসার রোভারের ক্ষেত্রে সেই অসুবিধা নেই। গবেষকরা জানিয়েছেন, চাঁদে বা গ্রহাণুতে কোনও বায়ুমণ্ডল নেই বলে অনেক বেশি পরিমাণে সৌরশক্তি পাবে এই ধরনের উড়ন্ত চাকি রোভার। বায়ুমণ্ডল নেই বলে সূর্য থেকে ছুটে আসা সৌরকণারা (মূলত ইলেকট্রন) যে আধান বহন করে আনবে তা এই রোভার চালানোর প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎশক্তি তৈরি করবে। ফলে কোনো ব্যাটারির দরকার হবে না। এর ফলে রোভারটিকে মহাকাশে পাঠানোর কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে। কমবে জ্বালানি ও আনুষঙ্গিক খরচও। একই কারণে রোভার বানানো হয়েছে খুব হাল্কা পদার্থ ‘মাইলার’ দিয়ে। যা মূলত পলিইথিলিন টেরেপথ্যালেট। এতেও মহাকাশযানে চাপিয়ে এই রোভারকে চাঁদে বা কোনও গ্রহাণুতে পৌঁছে দেওয়ার কাজটা সহজতর হয়ে যাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচকলেটের লোভ দেখিয়ে শিশু ধর্ষণ
পরবর্তী নিবন্ধঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিরাও পাবেন বুস্টার ডোজ : স্বাস্থ্যের ডিজি