নোয়াখালীর চৌমুহনীতে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করার পাশাপাশি এলাকার সন্তান হিসেবে নিজের লজ্জিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুদের মধ্যে ভার্চুয়ালি ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান। খবর বিডিনিউজের। ওবায়দুল কাদের বলেন, চৌমুহনীতে গত ১২ বছর এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। নোয়াখালীতে পুজামণ্ডপে কোনো হামলা হয়নি। এবারের তাণ্ডবটা কেন হলো, কীভাবে হলো? আমি সেখানকার নেতৃবৃন্দকেই সে প্রশ্ন রাখতে চাই। কুমিল্লায় যখন ঘটেছে এতগুলো পুজামণ্ডপে তখন চৌমুহনীতে আপনারা কেন সতর্ক হলেন না। ভোট এলে হিন্দুদের কাছে গিয়ে আমরা যারা মায়াকান্না করি, দরদ দেখাই। হিন্দুদের বিপদের সময় আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে পারিনি কেন? এ প্রশ্ন আপনাদের প্রত্যেকের বিবেকের কাছে আমি রেখে গেলাম।
নোয়াখালীতে দুজনের প্রাণহানির ঘটনা নেতাকর্মীদের বিবেকে আলোড়ন তুলেছে কিনা তা জানতে চেয়ে কাদের বলেন, আমি বলব, আমাদের দায়িত্বপালনে ব্যর্থতা আছে। সেটা নিজেরা খুঁজে বের করুন। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে আপনাদের সতর্কতার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। এতগুলো মণ্ডপ চৌমুহনীতে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দিল, আপনারা কি নিরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। একটা প্রতিরোধও তো হলো না, এটা নোয়াখালীর সন্তান হিসেবে আমাকে দুঃখ দিয়েছে। আমি নিজে লজ্জা পেয়েছি। কি জবাব দেব আজকে হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে।
সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পূজামণ্ডপ, মন্দির ও ঘরবাড়িগুলো সংস্কার বা পুননির্মাণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হবে আস্বস্ত করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।