মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উপভোগ করার সৌভাগ্য আমার চলমান জীবনে দেশকে জানার এক বিচিত্র পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। পাকিস্তানি হায়েনাদের হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে যেমন জেনেছি ঠিক তেমনি মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের কিভাবে মূল্যায়িত করে দেশে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল তাও জেনেছি। যুদ্ধ থেমে গেছে। যুদ্ধের স্মৃতি নিয়েই অনেকে জীবিত আছেন।শহীদদের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ এমন একটি দেশ হবে যেখানে সবাই নিরাপদে থাকবে। খুব কষ্ট লাগে এই স্বাধীন দেশে চলার পথে যখন অসংখ্য ঘটনা চোখে দেখা যায়। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘটনা বড় ঘটনার জন্ম দেয়। কিছু কিছু জায়গায় এমন কিছু চিত্র দেখি তা খুবই দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক বটে। ক্রমেই এক নিষ্ঠুর সময়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি যেখানে মানবিকতা, নৈতিকতা, মূল্যবোধ, দয়া, মমতা এসব শব্দের কোনো অস্তিত্বই নেই। তার জায়গা দখল করে নিচ্ছে অনৈতিকতা, অমানবিকতা, নিষ্ঠুরতা, দুর্নীতি, স্বার্থপরতা, জিঘাংসা, হিংসা, বিদ্বেষ ও সামপ্রদায়িক চিন্তা চেতনা। দেশে ভয়াবহ ব্যাধির মতো দানা বাঁধছে সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে এই স্বাধীন দেশ থেকে সকল অপকর্মকে পরাজিত করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদের সোনার বাংলা গড়ার চেতনা স্তিমিত হতে পারে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বীরদর্পে। এখন সময় এসেছে দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।