এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম কাপ্তাই হ্রদে গত এক মাসে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি কেন্দ্র মাছ আহরণ থেকে রাজস্ব আয় করেছে ৩ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা।
রাঙামাটি বিএফিডিসি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ আগস্ট থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদ থেকে সর্বমোট ১৮২১.৭০ মেট্রিক টন মাছ আহরণ হয়েছে।
এর থেকে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাজস্ব পেয়েছে ৩ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা।
গত ২০১৯-২০ অর্থ বছরে প্রথম এক মাসে মৎস্য আহরণ হয়েছিল ১৬১৯.৭০ মেট্রিক টন এবং সরকার রাজস্ব পেয়েছিল ২ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙামাটি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “কাপ্তাই হ্রদে গত বছরের চেয়ে এবার মাছ শিকার শুরুর প্রথম এক মাসে ৪০ লক্ষ টাকা বেশী রাজস্ব আদায় হয়েছে।”
তিনি বলেন, “মাছ শিকারে রাজস্ব আয়ের পাশাপাশি প্রায় ২০২ মেট্রিক টন বেশী মাছ আহরণ হয়েছে।”
ব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, কাপ্তাই হ্রদে কেচঁকী, চাপিলা, কালি বাউশ, কাতাল ও টেংড়া মাছ আহরণ বেশী হয়ে থাকে। কাপ্তাই হ্রদে আহরিত মাছ বিদেশেও রপ্তানি হয়ে থাকে এবং এ থেকে সরকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে।”
উল্লেখ্য, প্রতি বছরের মতো এ বছরও ১ মে থেকে ৩ মাসের জন্য কাপ্তাই হ্রদে মাছের বংশবৃদ্ধি ও পোনা অবমুক্তকরণ এবং মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধি ও প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণে মাছ শিকার বন্ধ ছিল।
গত ২০১৯-২০ অর্থ বছরে মৎস্য আহরণ থেকে সরকারি রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩ কোটি টাকা কিন্তু রাজস্ব আয় হয়েছে ১৬ কোটি টাকা যা আগের অর্থ বছরের চেয়ে ৩ কোটি টাকা বেশি।