নগরীর চকবাজার ও কোতোয়ালী থানার পৃথক দুই মামলায় রিমান্ড আবেদন পেন্ডিং থাকায় নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের জামিন শুনানি পিছিয়েছে। একই দিন কোতোয়ালী থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে করা অপর একটি মামলায় ১১ বিএনপি নেতাকর্মীর জামিন নাকচ করে দিয়ে ডা. শাহাদাত ও ৫ নারী বিএনপি কর্মীর জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে তিন মামলাতেই ডা. শাহাদাতসহ কারাগারে থাকা ১৭ নেতাকর্মীর জামিন চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করা হয়।
মহানগর পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী আজাদীকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কাজীর দেউরীর সহিংসতার ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে একটি মামলায় ডা. শাহাদাত হোসেনসহ ৫ জন মহিলা বিএনপি কর্মীকে জামিন প্রদান করা হয়। বাকি ১১ জনের জামিন নামঞ্জুর করা হয়। কোতোয়ালীর অপর একটি এবং চকবাজারের পৃথক একটিসহ ২টি মামলায় ডা শাহাদাত হোসেনের রিমান্ড পেন্ডিং থাকায় শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। রিমান্ড শুনানির পর এ দুটি মামলায় জামিন বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
আদালত সূত্র জানায়, কাজীর দেউড়িতে গত ২৯ মার্চের সহিংসতার ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের হয়। একটির বাদী নগর ট্রাফিক পুলিশের (দক্ষিণ বিভাগ) সার্জেন্ট মো. আমজাদ হোসেন। অপরটির বাদী কোতোয়ালী থানার সিআরবি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রবিউল ইসলাম। সার্জেন্ট আমজাদ হোসেনের মামলায় (মামলা নম্বর ৯৬/৩/২১) ৫৮ জনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ১৮৬, ১৮৯, ৩০৭, ৩৩২, ৩৩৩, ৩৫৩ ধারা, বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩, ৪, ৫ ধারা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫/৩ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এসআই রবিউল ইসলামের অপর মামলায় (মামলা নম্বর ৯৫/৩/২১) ৪৩ জনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৮৬, ৩৩২, ৩৩৩, ৩৫৩ ধারা ও সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ৬ (১) এর (ক) (আ) (ই) (উ) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৯ মার্চ সকালে চকবাজার থানায় ডা. শাহাদাত হোসেনসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি ও অপহরণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন নগর বিএনপি নেত্রী ডা. লুসি খান। পরে বিকালে পাঁচলাইশের ট্রিটমেন্ট হাসপাতাল থেকে ব্যক্তিগত সহকারীসহ ডা. শাহাদাত হোসেনকে গ্রেফতার করে চকবাজার থানা পুলিশ। এরপর আদালতের নির্দেশে কোতোয়ালী থানার দুই মামলাতেও ডা. শাহাদাত হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।