এক ব্যক্তির আত্মহত্যার চেষ্টা আনোয়ারার বোয়ালিয়া

ভূমি অধিগ্রহণের টাকা না পেয়ে

আনোয়ারা প্রতিনিধি | বুধবার , ৯ মার্চ, ২০২২ at ৬:৪৯ পূর্বাহ্ণ

তেলের সঞ্চালন লাইনের জন্য অধিগ্রহণকৃত ভূমির ক্ষতিপূরণের টাকা না পেয়ে মো. আবছার (৪২) নামে এক ব্যক্তি নিজ বাড়িতে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় আনোয়ারা উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি ওই গ্রামের মৃত রেনু মিয়ার পুত্র। বারশত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আত্মহত্যার চেষ্টাকারী আবছারের চাচাতো ভাই নুর হোসেন জানান, তার চাচাতো ভাই আবছার তিন বছর আগে বিদেশ থেকে এসেছেন। জীবনের সব আয় রোজগার দিয়ে গত বছর বোয়ালিয়া এলাকায় একটা পাকা বসতঘর নির্মাণ করেন। কিন্তু বসতভিটা ও বাড়ির সীমানা প্রাচীর মহেশখালী থেকে আসা তেলের পাইপলাইনের জন্য অধিগ্রহণ হয়ে গেলে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। দেশে এসে ৩ বছর ধরে তিনি বেকার। স্ত্রী ছাড়াও তার ৩ মেয়ে ও ১ ছেলে আছে।
এদিকে ক্ষতিপূরণের টাকা না পাওয়ার আগে গতকাল বিকালে ঠিকাদারের লোকজন আবছারের বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভাঙতে আসেন। এ সময় আবছার টাকা না পাওয়ার আগে প্রাচীর ভাঙতে বাধা দেন। কিন্তু বাধা না মেনে ঠিকাদারের লোকেরা সীমানা প্রাচীর ভেঙে দিলে আবছার গতকাল সন্ধ্যায় বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ঘটনার পর পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে আনোয়ারা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেফার করা হয়। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বারশত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ বলেন, ঘরের সীমানা প্রাচীর ভাঙা নিয়ে গতকাল ঠিকাদারের লোকজনের সঙ্গে আবছারের বাকবিতণ্ডা হয়। প্রাচীর ভাঙার কয়েক ঘণ্টা পর তিনি বিষ পান করেন। আবছারের পরিবারের দাবি, ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার আগে সীমানা প্রাচীর ভাঙায় তিনি বিষ পান করেছেন।
পাইপলাইন ঠিকাদার বাপ্পি এন্টারপ্রাইজের মালিক রায়পুরের চেয়ারম্যান আমিন শরীফ বলেন, মহেশখালী থেকে আসা আনোয়ারার বার আউলিয়া থেকে ডাঙ্গার চর পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটারের বেশি দুই লাইনের পাইপলাইন নির্মাণের মাটি কাটার কাজ করছে তার প্রতিষ্ঠান। গতকাল বোয়ালিয়া এলাকায় কাজ করার সময় আবছার নামের এক ব্যক্তির বাড়ির সীমানা প্রাচীর অধিগ্রহণে পড়ে। গতকাল সেখানে কাজ করতে গেলে তিনি বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে আমরা বিষয়টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও পুলিশকে অবহিত করি।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এম দিদারুল ইসলাম বলেন, বিষ খাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। তিনি বলেন, আমরা জানতে পারি তেলের লাইন নির্মাণে স্থানীয় আবছারের বসতভিটা ও সীমানা প্রাচীর অধিগ্রহণ হয়। গতকাল ঠিকাদারের লোকজনের অধিগ্রহণকৃত সীমানা প্রাচীর ভাঙাকে কেন্দ্র করে আবছার বিষ পান করেন। তবে তিনি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন কিনা জানি না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ২৮ নাবিক দেশে ফিরছেন আজ
পরবর্তী নিবন্ধসিআরবি ও পাহাড়তলীতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে প্রতিবাদ