এক বছরে চার লক্ষাধিক ডোজ টিকা

চসিক জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্র

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে (মহানগর ও উপজেলায়) আনুষ্ঠানিক ভাবে করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয় ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন সকাল সাড়ে ১০ টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল কেন্দ্রে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর টিকা গ্রহণের মধ্য দিয়ে বহুল প্রতীক্ষার করোনা টিকার যুগে প্রবেশ করে চট্টগ্রাম। প্রথম দিন চমেক হাসপাতাল কেন্দ্রের পাশাপাশি চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রেও টিকাদান শুরু হয়। আর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রে টিকাদান শুরু হয় একদিন পর ৮ ফেব্রুয়ারি। টিকাদান শুরুর পর গত এক বছরে চার লক্ষাধিক ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে এ হাসপাতালে। চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে প্রায় ২ লাখ মানুষ টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন চসিক জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রে। আর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৭৫ হাজার। এর বাইরে প্রায় ৪০ হাজার টিকা গ্রহীতা এরই মধ্যে বুস্টার (৩য়) ডোজ পেয়েছেন। সবমিলিয়ে কেন্দ্রটিতে ৪ লাখ ১৫ হাজার ডোজ টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী। তিনি বলেন, টিকাদান শুরুর পর দৈনিক এক হাজারের মতো লোকজনকে আমরা টিকা দিয়ে আসছি। সমপ্রতি এ সংখ্যা বেড়েছে। গত কয়েকদিনে দৈনিক দেড় হাজার মানুষ টিকা নিয়েছেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম ডোজ বন্ধ হয়ে যাবে, এমন ঘোষণায় লোকজনের ভিড় বেড়ে গেছে। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন নির্দেশনা হচ্ছে, ২৬ ফেব্রুয়ারির পরও প্রথম ডোজ চলমান থাকবে। বন্ধ হবে না।
এদিকে, টিকাদান শুরুর পর গত এক বছরে (৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) এক কোটিরও বেশি (১ কোটি ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৯৬৪) ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে চট্টগ্রামে। এর মাঝে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৫৪ লাখ ২৭ হাজার ৪০৫ জন। আর দুই ডোজের আওতায় এসেছেন ৩৪ লাখ ৭৩ হাজার ৭৩৭ জন। এছাড়া প্রায় দেড় লাখ টিকা গ্রহীতা এরইমধ্যে বুস্টার বা তৃতীয় ডোজ পেয়েছেন। এর বাইরে বিশেষ ক্যাম্পেইনে ১ম ও ২য় ডোজ মিলিয়ে আরো ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ৭১০ ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে মহানগর ও উপজেলায়। সবমিলিয়ে এক বছরে এক কোটির বেশি ডোজ টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। যদিও ৭ ফেব্রুয়ারির পর এই কয়দিনে টিকা গ্রহীতার সংখ্যা আরো বেড়েছে।
উল্লেখ্য, কোভিশিল্ড দিয়ে করোনার টিকাদান শুরু হয় চট্টগ্রামে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সিনোফার্ম, মডার্না ও ফাইজারের টিকা দেয়া হয়। বর্তমানে সবকয়টি টিকার প্রয়োগ চলমান রয়েছে চট্টগ্রামে। যদিও ফাইজার দেয়া হচ্ছে কেবল শিক্ষার্থীদের। আর বুস্টার ডোজ হিসেবে দেয়া হচ্ছে মডার্নার টিকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগৃহস্থালি পণ্যের চালানে পিস্তল
পরবর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত স্কুলছাত্রের মৃত্যু