একুশের কাব্য

নাহিদ নেওয়াজ | বৃহস্পতিবার , ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৫:৫৯ পূর্বাহ্ণ

চল্লিশটি তাজা প্রাণ

কিংবা তারও বেশি,

রক্তে রঞ্জিত হয়ে পড়েছিল

পীচঢালা কালো পথে,

একুশ এলেই ফিরে আসে ওরা

বাংলার সূর্য সন্তানেরা,

একুশ এলেই ফিরে আসে ওরা

ঘরছাড়া পাখিরা,

দাবানলের মত ফুঁসে উঠেছিল যারা

হাতে হাত রেখে প্রাণ দিল যারা

মাতৃভাষার তরে,

স্বৈরাচারী শাসক কেঁপে কেঁপে ওঠে

দামাল ছেলের ডরে

একুশ এলেই ফিরে আসে ওরা

সালাম, রফিক, জব্বার, তাজুলরা।

ফাগুনের আগুন ঝরা আর্তনাদ ওঠে আজও

বাতাসের হু হু শব্দে,

শোষকের খুনপিয়াসী অগ্নিমূর্তি!

ধিক শত ধিক!

আর লক্ষ লক্ষ অভিসম্পাত।

একুশ মানেই

রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাইঝাঁঝালো শ্লোগান

একুশ মানেই

ঝলমলে রোদ, ফাগুনের আটে মানুষের ঢল

একুশ মানেই

পৈশাচিক আক্রমণে বৃষ্টিমুখর নিশ্চল শহর

একুশ যেন রবীন্দ্রনাথের আমার

সোনার বাংলা।

একুশ যেন নজরুলের বিদ্রোহী ধুমকেতু।

একুশ যেন ছেলেহারা মায়ের দহন জ্বালা।

একুশ যেন স্বামীহারা নারীর শূন্য রিক্ত ঘর।

একুশ যেন অশ্রুসিক্ত মায়ের অধীর অপেক্ষা।

একুশ যেন ছেলেহারা মায়ের হাজার বুলি।

একুশ দিল বাংলার জয়

ইতিহাসে যার নেইকো জুড়ি

একুশ দিল উজ্জ্বল ভাস্বর

রক্তরাঙা, চকচকে বর্ণগুলি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপুলিশ
পরবর্তী নিবন্ধভালোবাসা এবং স্বপ্ন