একজন কাউন্সিলরও যদি আমাকে না চায়, আমি থাকব না

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা

আজাদী অনলাইন | বৃহস্পতিবার , ৬ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:৩৫ অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের আগামী সম্মেলনে একজন কাউন্সিলরও যদি তাকে দলের নেতৃত্বে দেখতে না চান তাহলে তিনি বিদায় নিতে প্রস্তুত আছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন টানা চার দশক ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে আসা শেখ হাসিনা।

গত দু’টি সম্মেলনের আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি নিজেই তার বয়সের কথা তুলে ধরে বলেছিলেন, নতুন নেতৃত্বের হাতে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে পারলে তিনি খুশি হবেন। তবে প্রতিবার সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুকন্যাকেই নেতৃত্বে রেখেছেন নেতাকর্মীরা।

সেই বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, এবার কোনো চমক সম্মেলনে থাকবে কি না, শেখ হাসিনা কোনো নতুন নেতৃত্বকে সামনে নিয়ে আসবেন কি না।

উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগের একটি কাউন্সিলর যদি বলে যে আমাকে চায় না, আমি কোনোদিনই থাকব না। যেদিন থেকে আমাকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট করেছিল, সেদিন থেকেই এই শর্তটা মেনে যাচ্ছি।”

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর একদল সদস্য যখন সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করে তখন স্বামীর কর্মসূত্রে ইউরোপে ছিলেন শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে থাকা ছোট বোন শেখ রেহানাও প্রাণে বেঁচে যান।

এরপর ছয় বছর নির্বাসনে কাটাতে হয় শেখ হাসিনাকে। ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার অনুপস্থিতিতেই আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তাকে দলীয় সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।

সভাপতি হয়ে দেশে ফিরে জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেন শেখ হাসিনা। ১৯৯৬ সালে তিনি দলকে ক্ষমতায় ফেরান।

এরপর ২০০৮ সালে আবারও নির্বাচিত হয়ে টানা তিন মেয়াদ ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের শাসক।

৪১ বছর ধরে আওয়ামী লীগের সভাপতি থাকা শেখ হাসিনা আগেও দলকে নতুন নেতৃত্ব খুঁজে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। আগামী ডিসেম্বরে আওয়ামী লগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন হবে বলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানান।

যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ দিনের সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে তা সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাউজানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধমঙ্গলবারের বিদ্যুৎ বিপর্যয় ‘স্বাভাবিক কারিগরি ত্রুটি’