এই লড়াইয়ে হয় জয়, নয় মৃত্যু

পলোগ্রাউন্ডে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে ফখরুল

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৩ অক্টোবর, ২০২২ at ৬:৫৪ পূর্বাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অন্যথায় আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানোর হুমকি দেন তিনি। বলেন, শেখ হাসিনা আপনি পদত্যাগ করুন। অন্যথায় আজ থেকে শুরু হওয়া আমাদের আন্দোলন সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেব। সে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারের পতন ঘটাব এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব। তিনি ক্ষমতাসীন সরকারের কড়া সমালোচনা করেন। এমনকি আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাও চান। এছাড়া আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ঘোষণা করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার দাবি জানান।
গতকাল বিকেলে নগরের পলোগ্রাউন্ড ময়দানে বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ দাবি করেন তিনি। নিত্য পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে পাঁচ নেতাকে হত্যা ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর পর মাঠটিতে অনুষ্ঠিত এ গণসমাবেশে চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ টি জেলা থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে আসা বিএনপি নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা অংশ নেন। দুপুর থেকেই লোকে লোকারণ্যে হয়ে ওঠে পলোগ্রাউন্ড মাঠ। সিআরবিসহ আশেপাশেও দেখা গেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের। তাদের দাবি, লক্ষাধিক লোকের সমাগম হয়েছে।
গণসমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাজাহান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক, গোলাম আকবর খোন্দকার, ভিপি জয়নাল আবেদীন, এস এম ফজলুল হক ও যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন। নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান।
জয় অথবা মৃত্যুর লড়াই: ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর হয়ে গেছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম গণতন্ত্রের জন্য। সেই গণতন্ত্রকে ফিরে পেতে আমাদের আবার যুদ্ধ করতে হচ্ছে। এ লড়াই বড় লড়াই। এ লড়াই খুব শক্ত লড়াই। এ লড়াই কঠিন লড়াই। এ লড়াইয়ে আমাদের জিততেই হবে। এর কোনো বিকল্প নাই। হয় আমরা জিতব না হয় মরে যাব। খুব সোজা হিসাব, যদি জিততে না পারি তাহলে এ দেশে কোনোদিন গণতন্ত্র থাকবে না। দেশের মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পাবে না। তখন আমাদের একটা উপনিবেশের মত বাস করতে হবে। তাই এটা বাংলাদেশের অস্তিত্বের লড়াই। এ সময় তিনি দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমরা কি সেটা চাই? মাথা নিচু করে বাঁচতে চাই? না। আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই।
মির্জা ফখরুল বলেন, র‌্যাবকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। র‌্যাবকে নিষেধাজ্ঞা দিলে হবে না। নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে শেখ হাসিনার সরকারকে। কারণ এ সরকারের নির্দেশে গুম ও বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। কাস্টডিতে টর্চার করে মেরে ফেলা হয়েছে। দিনে দুপুরে মা-বোনদের সম্ভ্রমহানি হচ্ছে। আবার এসব বিষয়ে ওনারা নাকি কিছু জানেন না। কয়েকদিন আগে বললেন, গুমের শিকার হওয়ারা নাকি পালিয়ে যাওয়ার সময় ভূ-মধ্য সাগরে ডুবে মরেছে এবং অনেকে বলছেন এরা নিজেরাই লুকিয়ে আছে।
ফখরুল বলেন, জাতিসংঘ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, কিছুদিন আগে মানবাধিকার কমিশনের ডিজি এসেছেন তিনিও পরিষ্কার করে বলেছেন, এদেশে গুম হয়। কয়েকদিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৭৪ পৃষ্ঠার যে রির্পোট বেরিয়েছে তাতে বলেছে বাংলাদেশে মানবাধিকার নাই, এখানে গুম, খুন ও বিচারবর্হিভূত হত্যকাণ্ড হয়। এখানে বিচার বিভাগও স্বাধীন নয়। বেগম জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্য রাজনৈতিক সাজা দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামসহ সারা দেশে আমাদের নেতকর্মীর বিরুদ্ধে ৩৫ লক্ষ মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
আন্দেলনের মূল লক্ষ্য সরকার পতন : মির্জা ফখরুল বলেন, শুরু করা আন্দোলনের মূল লক্ষ্য- শেখ হাসিনাকে এখনই পদত্যাগ করতে হবে। তাঁর ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নাই। তিনি (শেখ হাসিনা) বলছেন, দুর্ভিক্ষ আসছে, আপনারা কম খান, বাতি কম জ্বালান, পানি কম খান। আমরা বলি, তারা আছেন কেন? দেশ চালাতে না পারলে বিদায় হোন। নিরাপদে চলে যান। তা না হলে তো নিরাপদে পালানোর পথও খুঁজে পাবেন না। তাই বলছি অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদকে বিলুপ্ত করতে হবে। এরপর নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। সে সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। তারা সমস্ত রাজনৈতিক দলকে সম্পৃক্ত করে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। এর মধ্য দিয়ে জনগণের পার্লামেন্ট গঠন হবে। তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং বেগম জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।
এ সময় তিনি বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জনগণের এবং দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা দূর করবেন বলে ঘোষণা দেন। বলেন, চাল-ডাল তেল, বিদ্যুতের দাম কমিয়ে আনার চেষ্টা করব। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব।
আন্দোলন ছড়িয়ে দেয়া হবে সারা দেশে : ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, দেশনেত্রী বেগম জিয়াকে মুক্ত করা, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং লাখো মানুষকে মুক্ত করার দ্বিতীয় ধাপের আন্দোলন চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড থেকে শুরু হল। চট্টগ্রাম থেকে যে সূচনা হল তার স্ফুলিঙ্গ সারা দেশে ছড়িয়ে যাবে। এবার সারা বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠবে। অতিশীগ্রই দেশের মানুষ শেখ হাসিনা সরকারকে গদি থেকে নামিয়ে দিবে।
ফখরুল বলেন, সমাবেশে আসার আগে বাধা দেয়া হয়েছে। অনেকের গাড়ি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গাড়ি ভেঙে দিয়েছে। এরপরও ঠেকাতে পারেনি। আজকের সমাবেশ প্রমাণ করে, ভয় দেখিয়ে চট্টগ্রামবাসীকে দমিয়ে রাখা যায়নি। আপনারা হচ্ছেন দরিয়া পারের মানুষ। উত্তাল তরঙ্গের মধ্যে সাম্পান চালিয়ে এগিয়ে যায় চট্টগ্রামের মানুষ।
দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের : নিরপেক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না ঘোষণা দিয়ে ফখরুল বলেন, সরকার এমন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে যাদের ডিসি-এসপিরা মানে না। নির্বাচন কমিশনার ডিসি-এসপিকে ডেকে বলেছে নির্বাচন ঠিকভাবে করবেন। ডিসি-এসপিরা বলেছে, আমরা আপনার কথা মানি না, আমরা শেখ হাসিনার কথা মানি। এসময় দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, এদের দিয়ে কি নির্বাচন করবেন? এদেশের মানুষ নির্বাচন হতে দেবে? না, অসম্ভব। তাই আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়া আজ গৃহবন্দী। উনি চিকিৎসারও সুযোগ পাচ্ছেন না। এরা কত নিকৃষ্ট হতে পারে, বলে কি আপনারা বেশি কথা বললে বেগম জিয়াকে আবারও জেলে দেবে। কিন্তু খালেদা জিয়া জেলের ভয় পান না। তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যত মামলা সবগুলো সাজানো। প্রধান যে আসামি তাকে মিথ্যা স্বাক্ষী দিয়ে এফিডেভিট করে আবার ফাঁসি দিয়ে মেরে ফেলেছে। যাতে সত্য প্রকাশিত না হয়।
বাংলাদেশকে শ্মশান বানিয়েছে সরকার : সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আছে। এই সরকারের কোনো ম্যান্ডেট নেই। আগের রাতে ভোট নিয়ে ফলাফল ঘোষণা করেছে। শেখ মুজিবের ভাষায় বলতে চাই, বাংলাদেশকে তারা শ্মশানে পরিণত করেছে। এদেশের মানুষ তাদের কোনোদিন মেনে নেয়নি। আমাদের প্রশ্ন শ্মশান কেন হল? তারা সবকিছু লুট করে বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে এবং দেশের মানুষকে গরীব করে রেখেছে।
ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা ১০ টাকায় চাল খাওয়াবে বলেছিল, এখন চালের দাম ৭০ টাকা। তেল, লবণ, ডাল, মাছ-মাংস ও সবজিসহ প্রত্যেকটি পণ্যের তিন থেকে পাঁচগুণ বেড়ে গেছে। তারা জ্বালানি ও পানির দাম বাড়িয়েছে। এখন শুনতে পাচ্ছি বিদ্যুতের দামও নাকি আবার বাড়াবে। প্রত্যেক বছর কয়েকবার বাড়ায়। এখন নাকি আবার বাড়াবে। এত দাম বাড়ানোর কারণ একটাই, তারা চুরি এবং লুট করে। জনগণের পকেট থেকে টাকা নিয়ে তারা বিদেশে পাচার করে। কানাডার বেগমপাড়ায় ও লন্ডনে বাড়ি কিনে। এদিকে দেশের মানুষ না খেতে পেরে মারা যায়।
ফখরুল বলেন, খুব নাকি উন্নয়ন হচ্ছে। চট্টগ্রামে টানেল বানাচ্ছে। টানেল হোক আমাদের আপত্তি নাই। কিন্তু শতকরা ৪২ ভাগ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে। দু’ বেলা দু’ মুঠো খেতে পারে না। তিনি বলেন, আমরা যখন নিত্যপণ্য মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করি তখন আমাদের পাঁচজন নেতাকর্মী শহিদ হয়েছেন। এরা সবাই সাধারণ মানুষ। কেউ অর্থবিত্তের মালিক নয়। এরা পুলিশের গুলির সামনে বুক পেতে দিয়ে বলেছে- মার আমাকে। কিন্তু গণতন্ত্র মুক্ত করতে চাই।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, র‌্যাব-পুলিশকে দলীয়করণ করেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কমিটির কোন্দল নিয়ে তিনদিন ধরে ইউনিভার্সিটি বন্ধ রাখল। ছাত্রলীগের ছেলেরা এখন চাঁদাবাজি করে। সারা দেশে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের একটাই কাজ জনগণের ব্যাক পকেট কেটে বিত্ত তৈরি করে বিদেশে পাচার করে দেয়।
বাধাদানকারীদের লিস্ট সংগ্রহ করতে বললেন মোশাররফ : জনগণের দাবি নিয়ে চলমান বিএনপির আন্দোলন-কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের যারা বাধা দিচ্ছে তাদের লিস্ট সংগ্রহ করতে দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বলেন, দেশের মানুষ একদিন তাদের বিচার করবে। অভিযোগ করে তিনি বলেন, সরকারের দুর্নীতির কারণেই লোডশেডিং হচ্ছে, জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। আমরা দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে আন্দোলনে নেমেছি, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদ করছি। এসব আমরা জনগণের দাবি নিয়ে এসেছি। যদিও সে দাবি সরকার পূরণ করতে পারবে না। গণতন্ত্র ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করার জন্য তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ জন্য সরকারকে হঁটাতে হবে। কেউ স্বেচ্ছায় সরে যায় না। আন্দোলনের মাধ্যমে সরানো হবে। যার আন্দোলন আজ চট্টগ্রাম থেকে শুরু হল। তিনি বলেন, সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আজকের সমাবেশকে জনতা মহাসমাবেশে পরিণত করেছে। সরকারের প্রচেষ্টা সফল হয়নি। এই সরকার আমাদের ৩৭ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। গত ১৪/১৫ বছরে গুম, খুন, বিনা বিচারে হত্যা করেছে। তারপরও একজন কর্মীও বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়নি। সরকার বিএনপিকে দমাতে পারেনি।
বিদ্যুৎ দিতে না পারলে ক্ষমতায় কেন, প্রশ্ন গয়েশ্বরের : সরকারের সমালোচনা করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ২৩ সালে নাকি দুর্ভিক্ষ হবে। এসব বলতে তাদের লজ্জা লাগে না। আপনারা বিদ্যুৎ দিতে পারবেন না, কিন্তু ক্ষমতায় থাকবেন কেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গুমকারী। জনগণের সরকার ক্ষমতায় নাই।

তিনি বলেন, পুলিশ বলছে- লাঠি নিয়ে মিটিংয়ে আসা যাবে না। পুলিশকে এই অধিকার কে দিয়েছে? সংবিধানে কোথায় লেখা আছে বিরোধী দল সভা-সমাবেশ করতে পারবে না। পুলিশ জনগণের সেবক। জনগণের টাকায় পুলিশের বেতন হয়। পুলিশকে মনে রাখতে হবে, তারা শেখ হাসিনার কর্মচারী নয়। পুলিশকে বলব, আপনারা বন্দুক বাসায় রেখে আসুন। আমরা হাতে লাঠি নিব না। এসময় তিনি লাঠি আত্মরক্ষার হাতিয়ার বলেও মন্তব্য করেন। বলেন, যেখানে বাধা সেখানে প্রতিরোধ হবে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।
জেগেছে বীর চট্টলা : ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, সরকার খালি উন্নয়নের কথা বলে। এই উন্নয়ন তো জনগণের গলায় ঋণের ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, বীর চট্টলা জেগে উঠেছে। গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়েছে। সরকারের গদি থাকবে না।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, মৎসজীবী সম্পাদক লুৎফর রহমান কাজল, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার, ভিপি হারুনুর রশীদ, সহ গ্রাম সরকার সম্পাদক বেলাল আহমেদ, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম মজনু, শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, কৃষকদলের সভাপতি জাফিরুল ইসলাম তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, তাতীদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, বিএনপির সদস্য সাচিং প্রু জেরী, আলমগীর মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ, কঙবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহাবুদ্দীন সাবু, বিএনপির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দিপেন তালুকদার, ফেনী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলাল উদ্দীন আলাল, খাগড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার, জাসাসের সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম, মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক শাহানা আকতার শানু, ওলামা দলের মাওলানা নেসারুল হক, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন, বিএনপি নেতা আলহাজ্ব এম এ আজিজ, ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএনপির অপপ্রচার মিথ্যা প্রমাণিত হলো জাতিসংঘের ভোটে : তথ্যমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধসংকটের মুখে সার পরিবহন