এই ভোগান্তির শেষ কোথায়?

| শনিবার , ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৮:০২ পূর্বাহ্ণ

১৯৫০ সালের জমিদারি উচ্ছেদ বা প্রজাস্বত্ব আইনের ২ ধারার (২২) অনুচ্ছেদ অনুসারে রেন্ট বা খাজনার অর্থ হল, কোনো প্রজা কর্তৃক দখলীয় ভূমি ব্যবহারের জন্য উক্ত প্রজা কর্তৃক তার ল্যান্ড লর্ডকে যা কিছু প্রতিদান দেয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর সরকার ভূমির সঠিক তথ্য সংরক্ষণ ও খাজনার আদায়ের সুবিধার্থে বি.এস. জরিপের উদ্যোগ গ্রহণ করে। জরিপের মালিকানা স্বত্বের ভিত্তিতে বি.এস. খতিয়ান রেকর্ড পূর্বক খাজনা আদায়, ভূমি ক্রয় বিক্রয়, রেজিস্ট্রেশন, দান হেবা, মিউটেশন ইত্যাদি কর্মকাণ্ড চলে আসছে দীর্ঘদিন। এক কথায় ভূমির মালিকানা ক্ষেত্রে স্বত্ব প্রমাণের জন্য বি.এস. খতিয়ান নির্ভরযোগ্য একটি দালিলিক প্রমাণ। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ের উপকূলীয় অঞ্চলের দিয়ারা সেটেলমেন্ট জরিপ কার্যক্রমে ব্যাপক অনিয়মের সত্যতা পাওয়া যায়। যার ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন অসংখ্য ভূমি মালিকরা। বি.এস. খতিয়ানের সাথে ব্যাপক সংখ্যক পার্থক্য থাকায় যারা এতদিন খাজনা পরিশোধ, ক্রয় বিক্রয়, মিউটেশন ইত্যাদি সম্পন্ন করে এসেছেন তারা পড়েছেন বিপাকে। দিয়ারা জরিপে রেকর্ডকৃত তথ্যের সিংহভাগ রেকর্ড ভুলে ভরা লিপি হওয়ায় দিয়ারা জরিপের স্বচ্ছতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ফলে ভূমি মালিকদের ভোগান্তির কোনো শেষ নেই। বাস্তবতা হল এই, খুব সংখ্যক মানুষ আছে যারা দিয়ারা খতিয়ানের এই সব ভুল রেকর্ড সংশোধন করার জন্য আদালত কিংবা ভূমি অফিসে মিস মামলা করার সামর্থ্য রাখে। ফলে দিয়ারা খতিয়ানে রেকর্ডকৃত বেশীর ভাগ ভুল এখনো সংশোধন করা সম্ভব হয়নি। তাই এই সমস্যা সমাধানে এখনি বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
শাহ নেওয়াজ
মধ্যম হালিশহর, চট্টগ্রাম

পূর্ববর্তী নিবন্ধকমরেড মুজফ্‌ফর আহমদ : প্রগতিশীল রাজনীতির অন্যতম পুরোধা
পরবর্তী নিবন্ধআসুন, মাদকমুক্ত উন্নত সমাজ গঠনে ব্রতী হই