একুশে পদক পাওয়ার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবাদপত্র দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, সাংবাদিকতায় একুশে পদকের জন্য মনোনীত করায় আমি প্রথমে পরম করুণাময়ের শোকরানা আদায় করছি। ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে। ধন্যবাদ জানাই মাননীয় তথ্যমন্ত্রী এবং সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীসহ আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার পেছনে যারা নিভৃতে কাজ করেছেন তাঁদের সবাইকে। ধন্যবাদ জানাচ্ছি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানকে। যিনি অত্যন্ত আন্তরিকভাবে একুশে পদকের জন্য আমার নাম প্রস্তাব করেছিলেন।
এম এ মালেক বলেন, আমি মনে করি এ অর্জন আমার একার নয়; এটা চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষের অর্জন। এ অর্জন আজাদী পরিবারের। আমি বিশেষভাবে স্মরণ করছি আমার মরহুম পিতা এ অঞ্চলের প্রথম মুসলিম ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক এবং আমার মা মালেকা খাতুন এবং স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত দৈনিক আজাদীর প্রয়াত সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদকে। উনারা দৈনিক আজাদী প্রকাশ করেছিলেন বলেই জীবনের ৬২ বছর সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত থাকার সুযোগ পেয়েছি। আমি কৃতজ্ঞ দৈনিক আজাদীর অগুনতি পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা এবং শুভাকাঙ্খীদের প্রতি। যাঁদের আন্তরিক সমর্থন আমার এই পথচলাকে সহজ করে তুলেছিল। আমি বিশেষভাবে ঋণী আমার স্ত্রী কামরুন মালেকের প্রতি, আমার পরিবারের সদস্যদের প্রতি। দিনের বেশিরভাগ সময়ই আজাদীর জন্য ব্যয় করলেও তারা কোনোদিন কোনো অভিযোগ-অনুযোগ করেনি। রাতে-দিনে নির্ঝঞ্ঝাটে কাজ করা এবং চট্টগ্রামের মাটি ও মানুষের জন্য ভাবার যে অফুরন্ত সময় তারা আমাকে দিয়েছে তা অতুলনীয়। অতল ভালোবাসা সবার জন্য।
এম এ মালেক তাঁর এই প্রাপ্তি চট্টগ্রামবাসীকে উৎসর্গ করে বলেন, ‘জীবনের বাকি দিনগুলোও চট্টগ্রামের মাটি ও মানুষের কল্যাণে ব্যয় করে যেতে চাই।’