এই প্রকল্প অন্যত্র সরানো যাবে না

ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৯ অক্টোবর, ২০২২ at ৬:৪৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামসহ ৮টি বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন করে চারটি ইউনিট স্থাপনে অনেক ভেবে-চিন্তে প্রকল্প নেয়া হয়েছে মন্তব্য করে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনীয়তার নিরিখে অনেক ভেবে-চিন্তেই তো এ প্রকল্প নেয়া হয়েছে। তাই জায়গা সংকটের কথা বলে চট্টগ্রাম থেকে প্রকল্পটি সরানোর কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আংশিক নয়, আমরা এ প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন চাই। চট্টগ্রাম মেডিকেলে নতুন ভবন স্থাপন করা হলে হাসপাতালের বাতাস চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে বলে স্বাস্থ্যের ডিজি যে কথা বলেছেন তা পুরোটাই অবান্তর। কারণ, ৮টি মেডিকেলের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেলেই সবচেয়ে জায়গা বেশি। পরিসরও বড়। তাই এখানে জায়গা সংকটের কথা বলা মানে প্রকল্পটি চট্টগ্রাম থেকে অন্যত্র সরানোর চেষ্টা করা ছাড়া আর কিছু নয়।
চট্টগ্রামকে নিয়ে সবসময় ষড়যন্ত্র হয় মন্তব্য করে বাংলাদেশ ডার্মাটোলজি সোসাইটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামের যেন মা-বাপ নেই। কোনো জনপ্রতিনিধিকে এসব নিয়ে কথা বলতে দেখা যায় না। চট্টগ্রামে স্কিনের যে হাসপাতালটি আছে তা ১৯৫৭ সালে স্থাপন করা। বিশেষ করে নাবিকদের যৌন স্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে হাসপাতালটি সেখানে স্থাপন করা হয়। কিন্তু সেটিতে চিকিৎসা শিক্ষার তেমন সুযোগ নেই। এটিকে চাইলে আলাদা ইনস্টিটিউট করা যায়। কিন্তু চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা শিক্ষার প্রসারে স্কিনের ইউনিটও প্রয়োজন। সেটি বাদ দেয়া সমীচিন হবে না। চট্টগ্রামের জন্য গ্রহণ করা প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ (চারটি ইউনিট) বাস্তবায়ন দাবি করে তিনি বলেন, আংশিক নয়, আমরা প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন চাই। এই প্রকল্প কোনোভাবে অন্যত্র সরানো যাবে না। কেউ যদি অন্যত্র সরিয়ে নিতে চায় তবে আমরা চট্টগ্রামের জনসাধারণকে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকর্ণফুলী নিয়ে ভয়াবহ তথ্য
পরবর্তী নিবন্ধজায়গা সংকটের দাবি যৌক্তিক নয়