কর্ণফুলী উপজেলাধীন চরপাথরঘাটা আজিম হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়ে জেলা পর্যায়ে মাসব্যাপী জাতীয় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় ও কর্ণফুলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যৌথভাবে এ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিভিল সার্জন বলেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের লক্ষ্যে আজ (গতকাল) থেকে জেলা পর্যায়ে মাসব্যাপী জাতীয় হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। আগামী ২১ নভেম্বর এ ক্যাম্পেইন সম্পন্ন হবে। শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত মোট ১৮ দিনের প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত জেলার ১৫ উপজেলার ৪ হাজার ৩৮৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫ম–৯ম শ্রেণির ১০–১৪ বছর বয়সী ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৩৩০ জন কিশোরী ও স্কুল বহির্ভূত কমিউনিটির ১০–১৪ বছর বয়সী ৭ হাজার ৫১৮ জন কিশোরীসহ সর্বমোট ৩ লাখ ৫১ হাজার ৮৪৮ জন কিশোরীকে এইচপিভি ভ্যাকসিন প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এইচপিভি ভ্যাকসিনে কোন ধরণের ঝুঁকি নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা জান্নাতের সভাপতিত্বে ক্যাম্পেইন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কর্ণফুলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজনীন সুলতানা, উপজেলা জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙের এমওডিসি ডা. শাহাদাত হোসেন ও চরপাথরঘাটা আজিম হাকিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ মঞ্জুর আলম। সিভিল সার্জন কার্যালয় ও উপজেলা জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙের কর্মকর্তা–কর্মচারীসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পেইনে উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা জান্নাত বলেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর। এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিলে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যাবে। এটি কৈশোরকালীন স্বাস্থ্যসেবার এক নতুন দিগন্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ১৫ বছরের কম বয়সী মেয়েদের ৯০ শতাংশকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।