হিন্দু সমপ্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব হল দুর্গাপূজা বা দুর্গোৎসব, দক্ষিণ এশিয়ায় এটাকে বার্ষিক মহোৎসব হিসাবে ধরা হয় বলে এ পূজাকে শারদীয় উৎসবও বলা হয়। রামায়ণ অনুসারে অকালে বা অসময়ে দেবীর আগমন বা জাগরণ হয় বলে শরৎকালের দুর্গোৎসবকে অকালবোধনও বলা হয়। বসন্ত কালের দুর্গাপূজাকে বাসন্তী পূজা বলা হয়। সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমীঅবধি পাঁচদিন দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়।এ পাঁচটি দিন যথাক্রমে দুর্গাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমী ও বিজয়া দশমী নামে পরিচিত। আবার সমগ্র পক্ষটি দেবীপক্ষ নামেও পরিচিত। দেবীপক্ষের সূচনা হয় পূর্ববর্তী অমাবস্যার দিন। এ দিনটি মহালয়া নামে পরিচিত। মূলত অসুরদের বিনাশ, সাধুজনদের পরিত্রাণ এবং সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মা দুর্গা পৃথিবীতে অবতরণ করেন, এ সময় পুষ্পরাজির সোঁদা গন্ধে চারিদিক সুবাসিত হয়, দুর্গাপূজার আগে মহালয়ার দিন দেবীর পৃথিবীতে অবতরণ উপলক্ষে হিন্দু সমপ্রদায়ের পূজার্থীরা মহা সমারোহে পূজা-অর্চনা করে থাকে। দেবীপক্ষের পরিসমাপ্তি ঘটে পঞ্চদশ দিনে অর্থাৎ পূর্ণিমায়। এ দিনটি কোজাগরী পূর্ণিমা নামে পরিচিত ও বাৎসরিক লক্ষ্মীপূজার দিন হিসেবে গণ্য হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মত আমাদের দেশেও আগামী ১১ অক্টোবর থেকে পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। আসুন সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে দুর্গাপূজার আনন্দ উপভোগ করি এবং দেশকে করোনামুক্ত করার প্রয়াসে প্রার্থনা করি।