উপবৃত্তির ফরমে স্বাক্ষরের জন্য কলেজে ডেকে ছাত্রীর ‘শ্লীলতাহানির’ অভিযোগ

বোয়ালখালী প্রতিনিধি | শনিবার , ৩ জুলাই, ২০২১ at ৬:৪৬ পূর্বাহ্ণ

করোনাকালীন বন্ধে উপবৃত্তির ফরমে স্বাক্ষরের কথা বলে এক ছাত্রীকে কলেজে ডেকে নিয়ে তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বোয়ালখালী হাজী নুরুল হক ডিগ্রি কলেজের অফিস সহায়ক মো: মোরশেদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় কলেজ অধ্যক্ষের কাছে বিচার না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রী নিজেই।
অভিযোগে ওই ছাত্রী উল্লেখ করেন, ‘গত ১৮ মে কলেজের অফিস সহায়ক মোঃ মোরশেদ আমার বাবার মোবাইলে ফোন করে পরদিন সকালে উপবৃত্তির ফরমে স্বাক্ষর করতে হবে বলে আমাকে জরুরিভাবে কলেজে পাঠাতে বলেন। বাবার মুখে এ খবর শুনে আমি পরদিন সময়মত কলেজে যাই। কলেজে গিয়ে দেখি পুরো ক্যাম্পাস
ফাঁকা। শুধুমাত্র একটি কক্ষের দরজা খুলে বসে আছেন মোরশেদ একাই। আমি ভয় পেয়ে ভেতরে না ঢুকে অনেকক্ষণ বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকি। তখন মোরশেদ একটি কাগজ বের করে এতে স্বাক্ষর করে যাও বল্লে সরল মনে আমি ওই কক্ষে ঢোকার সাথেসাথেই মোরশেদ আমার সম্ভ্রমহানির চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে আমি ছুটে দৌঁড়ে পালিয়ে এসে কোনোমতে নিজেকে রক্ষা করি। পরদিন কলেজ অধ্যক্ষকে বিষয়টি জানালে তিনি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। আমি সাথেসাথেই তা লিখিতভাবে কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানাই। কিন্তু ঘটনার একমাস পরও তারা এ নিয়ে গড়িমসি করতে থাকেন বলে অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী।’ পরে তিনি নিরুপায় হয়ে গত ২৯ জুন ইউএনও’র দপ্তরে গিয়ে অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত মোঃ মোরশেদ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘ওইদিন কলেজে আমার সাথে দারোয়ান নুরু মিয়াও উপস্থিত ছিলেন। ওই ছাত্রী কলেজে ঢুকতে চাইলে কলেজ বন্ধ বলে দারোয়ান তাকে চলে যেতে বলেন। কোনো ঘটনা না ঘটার পরও পরদিন আমার বিরুদ্ধে একটা কাল্পনিক অভিযোগ তুলে তারা আমার গায়ে হাত তুলে। পরে অধ্যক্ষ স্যার এর একটা মীমাংসা করে দেন। এ নিয়ে আবার কেন এত মাতামাতি ও অভিযোগ বুঝতে পারছি না।’ এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহার অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সাথে-সাথেই আমি ব্যাপারটি নিয়ে অধ্যক্ষ ও কলেজের সভাপতির সাথে কথা বলে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা খুঁজে পেয়েছি। কিন্তু চলমান লকডাউনের ব্যস্ততায় ব্যবস্থা নিতে কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। দোষী সাব্যস্থ হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেন তিনি। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কাইসারুল হক বলেন, ছাত্রীর অভিযোগের পর আমি প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়ে তা কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য ও স্থানীয় ইউএনওকে অবগত করি। আমিও এ ঘটনার যথাযথ সুবিচার কামনা করি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবন্দরে গাড়ির ধাক্কায় কিশোরের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধকয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বাবা ছেলের মৃত্যু