উপজেলা পরিষদে প্রশাসনের ‘হস্তক্ষেপ’ বন্ধের আহ্বান

| রবিবার , ৩ জানুয়ারি, ২০২১ at ৬:৩৮ পূর্বাহ্ণ

উপজেলা পরিষদ আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ, অনিয়ম, দুর্নীতি ও দৌরাত্ম্য বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে অবিলম্বে তা বাস্তবায়নের অনুরোধ করেছেন। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবি তুলে ধরেন বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। দাবি বাস্তবায়নে আগামী ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত জেলা সদর ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে মতবিনিময়, মানববন্ধনের মত কর্মসূচি রেখে কঠোর আন্দোলনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন-অর-রশীদ হাওলাদার বলেন, উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা থাকলেও প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মকর্তা (ইউএনও) সবকিছু উপেক্ষা করে উপজেলায় শাসকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ আইন (সংশোধিত) ২০১১ অনুযায়ী সকল উপজেলাকে প্রশাসনিক একাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। আইনটির তৃতীয় তফসিলে ১২টি মন্ত্রণালয়ের উপজেলাভিত্তিক ১৭টি বিভাগকে উপজেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হস্তাস্তর করা এসব কাজ সম্পাদনে উপজেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যানের অনুমোদন নেওয়ার কথা। ২০১০ সালের ১৭ জুন, ২০১৫ সালের ১৪ অক্টোবর ও সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর এ সংক্রান্ত আদেশও জারি করা হয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে।
পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের পাশ কাটিয়ে সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা এককভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তারা উপজেলা পরিষদের বদলে নাম ব্যবহার করছেন উপজেলা প্রশাসন। চেয়ারম্যানের অনুমোদন ছাড়াই সমস্ত কাজ পরিচালনা করছেন। অথচ উপজেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে তাদের সচিবের দায়িত্ব পালন করার কথা।
তার ভাষ্য, উপজেলা পরিষদ আইন পুরোপুরি বাস্তবায়ন না করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আদেশ, পরিপত্র জারি করে উপজেলা চেয়ারম্যানদের ক্ষমতা খর্ব করা হচ্ছে। এছাড়া আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সদস্যরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, উপজেলা পরিষদ আইনের পুরোপুরি বাস্তবায়ন, উপজেলা পরিষদ কার্যক্রম বাস্তবায়নে বিধিমালা অনুসরণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে গত বছর ২০ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবসহ ১৫ সচিবের কাছে আইনি নোটিস পাঠানো হলেও দাবি বাস্তবায়নের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ এখনও দেখা যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন উপজেলার ৬০ জন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএনপির আন্দোলনের কথা শুনলে জনগণ এখন হাসে : কাদের
পরবর্তী নিবন্ধসাগরতীরে শুটকি তৈরির ধুম