উপকূলীয় বন উজাড় করে গড়ে তোলা জাহাজভাঙা কারখানায় উচ্ছেদ অভিযান

সীতাকুণ্ডের সলিমপুর

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৩০ মে, ২০২৩ at ৫:৩০ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ডের সলিমপুরে উপকূলীয় বন উজাড় করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা কোহিনুর স্টিল নামক জাহাজভাঙা কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের নির্দেশে গতকাল সোমবার দুপুরে এম এ কাসেম রাজার মালিকানাধীন অবৈধ জাহাজভাঙা কারখানায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম, চট্টগ্রাম জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাজাহারুল ইসলাম।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরে জাহাজভাঙা কারখানা নির্মাণের জন্য সলিমপুর সাগর উপকূলের তুলাতলী মৌজার উপকূলীয়

বেড়িবাঁধ সংলগ্ন প্রায় ১০ একর সরকারি বালুচর দখল করে নেন এম এ কাশেম রাজা। দখল পরবর্তীতে পরিবেশ আইনের তোয়াক্কা না করে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ সুরক্ষায় লাগানো বিপুল পরিমাণ ঝাউ, কেওড়া ও বাইনসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে উজাড় করা হয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তারা অবৈধ দখলদারিত্ব ঠেকাতে ও বেড়িবাঁধের সুরক্ষা নিশ্চিতে গাছ কাটা বন্ধে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন। এলাকাবাসীর অভিযোগের বিষয়টি নজরে আসার পর উপকূলীয় গাছ কাটা ও অবৈধ জাহাজভাঙা কারখানা নির্মাণ বন্ধে পরিবেশবাদী সংগঠন বেলা বাদি হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। এর পাশাপাশি উপকূলীয় গাছ কাটার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বন বিভাগের পক্ষ থেকেও একটি মামলা দায়ের করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন জানান, উপকূলীয় বন উজাড় ও সরকারি বালুচর দখল করে জাহাজভাঙা কারখানা নির্মাণের কথা জানতে পেরে এটি উচ্ছেদের নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক। গতকাল দুপুরে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে কোহিনুর স্টিল নামক জাহাজভাঙা কারখানার জন্য নির্মিত একটি দ্বিতল ভবন ও একটি একতলা ভবনের কিছু অংশ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।

শাহাদাত হোসেন আরো জানান, দখল করা জায়গায় এম এ কাশেম রাজা ৫টি জাহাজভাঙা কারখানা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছেন। সেখানে ৫টি হুইন্স মেশিন বসানো হয়েছে। লোকবল ও যন্ত্রপাতি সংকটের কারণে তারা সেখানে বসানো ভারী যন্ত্রপাতিগুলো সরাতে পারেননি। পাশাপাশি ভবন দুটিও পুরোপুরি ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। আগামী দুদিনের মধ্যে ফের অভিযান চালিয়ে যন্ত্রপাতিগুলো জব্দের পাশাপাশি ভবন দুটি পুরোপুরি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে বলেও জানান ইউএনও।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামেও বাড়ছে ডেঙ্গু
পরবর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে যুবদলের দুই নেতা গ্রেপ্তার