উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় সীমান্তের ৫০২ এসএসসি পরীক্ষার্থী

পরিস্থিতি বিবেচনায় বিকল্প সিদ্ধান্ত নেয়ার আশ্বাস ডিসির

বান্দরবান প্রতিনিধি | রবিবার , ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৫:৩০ পূর্বাহ্ণ

মিয়ানমারে চলমান সংঘাত বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ঘুমধুম সীমান্তের ৫০২ জন এসএসসি ও ভোকেশনাল কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থী উদ্বেগউৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে। দুশ্চিন্তায় রয়েছেন শিক্ষক ও তাদের অভিভাবকরা। তবে জেলা প্রশাসক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের দাবি, পরিস্থিতি বিবেচনায় নেয়া হবে বিকল্প সিদ্ধান্ত। ইতিমধ্যে বিকল্প সম্ভাব্য পরীক্ষা কেন্দ্রের নামও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা আকারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। শিক্ষা বিভাগের তথ্যমতে, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ঘুমধুম ইউনিয়নে ৫০২ জন এসএসসি ও ভোকেশনাল (কারিগরি) পরীক্ষার্থী রয়েছে। তারমধ্যে এসএসসি নিয়মিত ৩৬০ জন, অনিয়মিত ১০৪ জন এবং ভোকেশনাল পরীক্ষার্থী ৩৯ জন। ঘুমধুমের নির্ধারিত এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র হচ্ছে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়। তবে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হলে উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বা ঘুমধুম সরকারি প্রাইমারি স্কুলের যে কোনো একটিতে পরীক্ষা কেন্দ্র স্থানান্তর হবে।

পরীক্ষার্থী আলমগীর ও মাহফুজা বলেন, মিয়ানমারে সংঘাতের কারণে ঘরবাড়ি ছেড়ে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলাম পরিবারের সবাই। গোলাগুলির শব্দে ভয়ে আতঙ্কে ঠিকঠাক পড়ালেখাও করতে পারিনি। ঘরে ফেরার পরও মনে স্বস্তি পাচ্ছি না, অথচ পরীক্ষার বাকি আর মাত্র কদিন। পরীক্ষা দিতে পারবো কিনা, পরীক্ষা কেন্দ্র বদলাবে কিনা সেই দুশ্চিন্তায় চোখে ঘুম নেই।

ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খায়রুল বশর জানান, মিয়ানমারে চলমান সংঘাতে উত্তপ্ত সীমান্ত পরিস্থিতির কারণে ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫০২ জন পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে। তবে সীমান্ত পরিস্থিতি শান্ত হয়ে উঠায় স্বস্তি ফিরেছে শিক্ষকদের মাঝে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফরিদুল আলম হোসাইনি বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সীমান্ত পরিস্থিতি বিবেচনায় পরীক্ষা কেন্দ্র বদলানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ইতিমধ্যে পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, যাতায়াত সুবিধাসহ সার্বিক বিষয়টি মাথায় রেখে বিকল্প সম্ভাব্য দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে নির্ধারিত পরীক্ষা কেন্দ্র ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়েই এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে পরিস্থিতি খারাপ হলে বিকল্প হিসেবে উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বা ঘুমধুম সরকারি প্রাইমারি স্কুলের যেকোনো একটি স্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্র স্থানান্তর করা হবে। মন্ত্রণালয়ে এ ধরনের একটি প্রস্তাবনাও পাঠানো হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅস্ত্রসহ আটক ২৩ মিয়ানমার নাগরিককে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ
পরবর্তী নিবন্ধসীমান্তের অপরাধীদের হাতে ভারী অস্ত্র যাওয়ার শঙ্কা!