ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর কিছুটা উত্তাল এবং বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করলেও কক্সবাজার ভ্রমণে আসা পর্যটকরা ঝড় বৃষ্টি কিছুই মানছেন না। গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মাঝেও সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। গতকাল সোমবার বিকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী, সুগন্ধা ও কলাতলীসহ সবকটি পয়েন্টে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। মেঘাচ্ছন পরিবেশ, গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতেও অসংখ্য পর্যটককে বালিয়াড়িতে দৌঁড়ঝাঁপসহ সমুদ্র স্নানে আনন্দমুখর সময় কাটাতে দেখা গেছে। সৈকতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলছেন, পূজার ছুটিতে অনেক পর্যটক কক্সবাজার বেড়াতে এসেছেন। তাদের অনেকে বৈরী আবহাওয়ার ফাঁদে পড়েছেন। সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিচকর্মী বেলাল হোসেন
আজাদীকে বলেন, এই সপ্তাহে শুক্র ও শনিবার সবচে বেশি পর্যটক ছিল। পূজার ছুটি থাকাতে দূর–দুরান্ত থেকে পর্যটকরা কক্সবাজার এসেছেন। তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত জারির হলেও সাগর মোটামুটি স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। যে কারণে এখন পর্যন্ত পর্যটকেরাও সৈকতে যে যার মত সময় কাটাচ্ছেন। সৈকতে দায়িত্বরত এক লাইফগার্ড কর্মী বলেন, সাগরে সিগন্যাল থাকায় আমরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছি। যারা সমুদ্র স্নানে নামছেন তাদের বেশি দূর যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
কুমিল্লা থেকে আসা পর্যটক মো. ফরহাদ রেজা বলেন, চলে আসার পর দেখছি, আবহাওয়া খারাপ। এখন নাকি তিন নম্বর সংকেত দিয়েছে। গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হলেও সবকিছু স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। তাই বিচে নেমেছি। চলে এসেছি যখন এখন তো আর রুমে বসে থাকতে পারি না। তাই বিচে আসলাম। এভাবেই বললেন ঢাকা থেকে আসা পর্যটক সুবল শর্মা। সুবল বলেন, ঠাণ্ডা আবহাওয়া বেশ ভালই লাগছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, তিন নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হলেও সার্বিক পরিস্থিতি আমাদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। অবস্থার অবনতি হলে সৈকতে সমুদ্র স্নানে কাউকে নামতে দেওয়া হবে না। কঙবাজার টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, সৈকতের সবকটি পয়েন্ট টুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। তারা ভ্রমণে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছেন। আবহাওয়া খারাপ হলে সৈকতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।