শ্রীলংকার পাল্লেকেলের স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন বোলাররা। সেটা এমন এক উইকেট, যাতে আসলে বোলারদের জন্য কিছুই নেই। পাল্লেকেলে টেস্টের চারদিন পার হওয়ার পরই তাই বাংলাদেশ-শ্রীলংকা দুই দলের দুই ইনিংস শেষ হয়নি। শেষদিনের জন্য বাকি দুই ইনিংস। বলা যায়, মিরাকল না ঘটলে নিশ্চিত ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছে এই টেস্ট। চার দিনে এই টেস্টে দুই দল মিলিয়ে উইকেট পড়েছে মাত্র ১০টি। চতুর্থ দিনে তো বাংলাদেশি বোলাররা উইকেটই পাননি। সবমিলিয়ে যারপরনাই হতাশা প্রকাশ করেন দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা তাসকিন আহমেদ। তাসকিন মনে করেন, এমন উইকেট টেস্ট ক্রিকেটে বোলারদের জন্য আসলেই কঠিন। এখানে ব্যাটসম্যানকে আউট করার সুযোগ বলতে গেলে পাওয়াই যায় না। তাই আসলে ধৈর্য ধরা ছাড়া কিছুই করার নেই।
চতুর্থ দিন ৩ উইকেটে ২২৯ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করা শ্রীলংকা আলোক স্বল্পতায় খেলা বন্ধ হওয়ার আগে করে ৩ উইকেটে ৫১২ রান। অর্থাৎ এ দিন ২৮৩ রান তুলেছেন দুই ব্যাটসম্যান দিমুথ করুনারত্নে আর ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। কিন্তু এত রান খরচ করেও বাংলাদেশ একটি উইকেট তুলে নিতে পারেনি। নিজেদের বোলিং নিয়ে তবু হতাশ নন তাসকিন, বরং হতাশ উইকেটের চরিত্র নিয়ে। টাইগার পেসার বলেন, ‘আসলে সত্যি কথা বলতে, টেস্ট ক্রিকেটে এরকম উইকেটে অনেক কঠিন বোলারদের জন্য। নরমালি দেখেন ওদের বোলাররা লাকমলও কিন্তু ৩৫ ওভার বল করেছে, বাকি যারা করেছে ভালো করেছে। উইকেটটা এমন যে চান্স তৈরি হওয়ার অপশনটাই কম। ভালো বলেও একটু উনিশ-বিশ হলে সেটা বাউন্ডারি হয়ে যাচ্ছে। আমরাও তো ৫৪১ করে ডিক্লেয়ার করেছি। আরেকটু বেটার উইকেট যদি হতো, বোলিংয়ে আরেকটু হেল্প যদি থাকতো, তাহলে ভালো হতো। কঠিন ছিল অবশ্যই বোলারদের জন্য।’ তিন পেসার নিয়ে এই টেস্টে খেলছে বাংলাদেশ, তিনজনই ডানহাতি। পেসার কম্বিনেশন আরও একটু ভালো হতে পারতো কি না? এমন প্রশ্নে তাসকিন বলেন, ‘এটা আসলে কম্বিনেশনের চেয়ে বড় ব্যাপার হল ভালো বল করা। হয়তো এই কন্ডিশন বোলারদের জন্য কঠিন। টেস্ট ক্রিকেটে বোলাররা উইকেট থেকে টার্ন বা সিম পেলে আরেকটু ভালো করতে পারে। এখন এরকম উইকেটে কিছু করার নেই। আমরা সেরাটা দিয়েছি, বলতে পারেন ভিন্ন অভিজ্ঞতা হচ্ছে। শেখার চেষ্টা করছি যে এরকম উইকেটে কিভাবে ভালো বল করা যায়।’ পঞ্চম ও শেষ দিনে এই উইকেট সম্পর্কে তাসকিন বলেন, ‘নরমালি টেস্ট ক্রিকেটে বেসিক জিনিসটাই ধারাবাহিকভাবে করাটা হলো বিষয়। ফিল্ডিং অনুযায়ী ভালো লেন্থে বল করা মাঝে মাঝে সারপ্রাইজ বাউন্সার করা। সেগুলো আমরা করছি, কিছু সুযোগও তৈরি হয়েছে। দুর্ভাগ্য যে তা গ্যাপে পরেছে, ক্যাচের মতো হয়ে চার হয়েছে। তবুও আমি মনে করি এটা খুব ভালো ব্যাটিং উইকেট। এখানে আসলে আমাদের ধৈর্য নিয়ে ভালো বল করা ছাড়া উপায় নেই।’
আগামী ২৯ এপ্রিল একই ভেন্যুতে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। একই উইকেট হলে বোলারদের করণীয় কী হবে? এমন প্রশ্নে তাসকিন বলেন, ‘দ্বিতীয় টেস্টে যদি উইকেটের আচরণ একই থাকে, তাহলে আমাদের বোলারদের আরও হিসেবি হতে হবে।
ব্যাটসম্যানের দুর্বলতা বুঝে বেশি ফোকাসড থেকে বল করতে হবে। এছাড়া তেমন কিছু করার নেই।’