ঈদ এলেই বাড়ে খড়ের চাহিদা

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৯ জুলাই, ২০২১ at ৬:৪১ পূর্বাহ্ণ

গো খাদ্য দুই প্রকারের-আঁশওয়ালা ও দানাদার। খড় হচ্ছে আঁশওয়ালা খাদ্যের অন্যতম। গো খাদ্য হিসেবে এটির অবস্থান এখনো সবার উপরে। নগর এলাকায় খড়ের দেখা তেমন মিলে না। তবে কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে এলে বিভিন্ন এলাকায় খড় বিক্রি করতে দেখা যায়। আসন্ন কোরবানির ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। ইতিমধ্যে অনেকে গরু-ছাগল কিনেছেন। ক্রয় করা পশুর জন্য সংগ্রহ করছেন খাবার। গতকাল রোববার নগরীর কলেজ রোডের প্যারেড কর্নারের এক পাশে নুরুল হক নামে একজনকে খড় বিক্রি করতে দেখা যায়। তিনি বলেন, কোরবানির ঈদ এলে নগরীতে খড়ের চাহিদা বাড়ে। তাই এই মৌসুমী ব্যবসা। রাঙামাটি থেকে খড় সংগ্রহ করে বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, পাঁচ হাজার টাকা ব্যয়ে খড়গুলো কিনে এনেছি। মোট ৬০ ভাগে ভাগ করেছি। প্রতি ভাগের মূল্য ১০০ টাকা। গতকাল তেমন বিক্রি ছিল না। আজ অর্ধেকেরও বেশি বিক্রি হয়ে গেছে। সোমবার দুপুরের মধ্যে বাকিগুলো শেষ হয়ে যাবে।
খড় কিনতে এসেছেন অনেকেই। পাঁচলাইশ থেকে আসা একজন বললেন, অনেক জায়গায় খড় খুঁজেছি, পাচ্ছিলাম না। অবশেষে এখানে এসে পেয়ে গেলাম।
ধান মাড়াই করার পর অবশিষ্ট অংশ শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। এটিই হলো খড়। গ্রামাঞ্চলে খড়ের গাদা করে সংরক্ষণ করা হয়। খড় সাধারণত গরু, ছাগল, ভেড়া ও ঘোড়াকে খাওয়ানো হয়। গরুকে লিগুম বা শিমজাতীয় কচি ঘাসের খড়, নাড়া, কাঁচা ঘাসও খাওয়ানো হয়। এছাড়া দানাদার খাদ্যের মধ্যে চালের কুঁড়া, গমের ভুসি, ভুট্টা, বিভিন্ন প্রকার খৈল, কলাই, ছোলা, খেসারি, সয়াবিন ও শুকনো মাছের গুঁড়া খাওয়ানো হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বিপুল পরিমাণ চাল ডাল তেল জব্দ
পরবর্তী নিবন্ধইসকনকে জঙ্গি বলায় মানহানির মামলা