ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.)

নুসরাত সুলতানা | রবিবার , ১ নভেম্বর, ২০২০ at ৫:২৭ পূর্বাহ্ণ

ইসলাম ধর্মমতে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সা.) নবুয়্যত প্রাপ্ত শেষ নবী। মহাকালের এক মহাক্রান্তিলগ্নে ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ সোমবার, সুবেহ সাদিকের সময় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মুসলমানদের কাছে এ এক পবিত্র দিন। এই দিনটি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করা হয়। বছর ঘুরে আবার এলো সেই দিন। ঈদ শব্দের আভিধানিক অর্থ হল খুশী হওয়া, আনন্দ উৎযাপন করা ইত্যাদি। ‘মিলাদুন্নবী’ (সা.) বলতে প্রিয় নবীজীর আগমনকেই বুঝানো হয়। আর ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’(সা.) বলতে নবীজীর আগমনে খুশী উৎযাপন করাকে বুঝায়।
আজ থেকে প্রায় ১৪০০ বছরেরও আগে সারা আরব বিশ্ব যখন পৌত্তলিকতার অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিলো, তখন মহান আল্লাহ পাক তাঁর প্রিয় বন্ধু বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে বিশ্বজগতের রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন। আরবের মরু প্রান্তরে মা আমেনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। অশান্তি আর বর্বরতায় ভরপুর সংঘাতময় আরবের বুকে আঁধারের বুক চিড়ে মহানবী (সা.) বিশ্ববাসীকে মুক্তি ও শান্তির পথে আহ্বান জানিয়ে, মানবজাতিকে সত্যের, সভ্যতা ও ন্যায়ের দিক নির্দেশনা দিয়ে গোটা বিশ্বকে শান্তিতে পরিপূর্ণ করে তোলেন। আইয়্যামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার দূর করতে তৌহিদের মহান বাণী নিয়ে এসেছিলেন এই মহামানব। প্রচার এবং প্রতিষ্ঠিত করেছেন শান্তির ধর্ম ইসলাম। তাঁর আবির্ভাব এবং শান্তির বাণী প্রচার সারা বিশ্বে আলোড়ন তোলে। ৪০ বছর বয়সে তিনি নবুয়্যত লাভ করেন। সব ধরনের কুসংস্কার, গোঁড়ামি, অন্যায়, অবিচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তির বার্তা বহন করে এনেছিলেন তিনি। আল্লাহর রহমত স্বরূপ তিনি প্রেরিত হয়েছিলেন সমগ্র পৃথিবীর জন্য। পৃথিবীতে যেকোনো মানুষের মৃত্যুই তাঁর পরিবার, সমাজ ও দেশের জন্য বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি করে। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর চেয়ে অধিক বেদনাদায়ক কোনো বিষয় তাঁর উম্মতের জন্য হতে পারে না।
মহানবী (সা.) তেষট্টি বছরের এক মহান আদর্শিক জীবন অতিবাহিত করে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে রবিউল আউওয়াল মাসের ১২ তারিখ সোমবার পরলোক গমন করেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস ১২ রবিউল আউয়াল। দিনটি সমগ্র বিশ্বে মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসবাই সুখী হতে চায়
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাদেশে প্রথম থ্যালাসেমিয়া আন্দোলন