সারাবিশ্বের মুসলমানদের কাছে ঈদুল আযহার পশু কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় রীতি। আমাদের দেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। বরং একধাপ এগিয়ে। বিশ্ববাসীদের আদি পিতা হযরত ইব্রাহিম (আঃ)-এর সুন্নত হিসেবে কোরবানি মুসলমানদের জন্য অবশ্য পালনীয়। যাদের আর্থিক সামর্থ্য আছে, তাদের জন্য কোরবানির তাগিদ দেওয়া হয়েছে। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সাঃ) বলেন, “কোরবানি হল তোমাদের আদি পিতা হযরত ইব্রাহিম (আঃ)-এর সুন্নত, কোরবানির পশুর প্রতিটি পশমের পরিবর্তে একটি করে নেকি রয়েছে।” মনে রাখতে হবে, আল্লাহর কাছে কোরবানির পশুর রক্ত, মাংস কিছুই পৌঁছায় না। পৌঁছায় তাকওয়া। পবিত্র আল কোরআনে এ বিষয়ে স্পষ্ট করা হয়েছে, “অবশ্যই আল্লাহ মুত্তাকিদের কোরবানি কবুল করেন।”
এবার আমরা এমন সময়ে ঈদুল আযহা উদযাপন করতে যাচ্ছি – যখন করোনাভাইরাস ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। আমাদের একটা অভ্যাস আছে যে, কোরবানির মাংস দীর্ঘদিন যাবৎ সংরক্ষণ করে রাখা। রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “করোনাভাইরাস সংক্রমিত মাংস ফ্রিজে রাখলে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৮ থেকে ১০ দিন এবং ডিপ ফ্রিজের ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভাইরাসটি দুই বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। ফলে অন্যান্য বছরের মতো ডিপ ফ্রিজে কোরবানির মাংস অনেকদিন রেখে খেলে এর মাধ্যমে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকবে। এ বিষয়েও আমাদের সচেতন হতে হবে। ঈদুল আযহা হচ্ছে ত্যাগ ও পবিত্রতার। এ ত্যাগের মহিমায় আমাদের ভিতর শুদ্ধতা আসুক। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।