ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন এক শ্রেষ্ঠ ইবাদত। এটা উম্মতে মোহাম্মদীর নাজাতের উসিলা হিসেবে কাজ করবে বলে মন্তব্য করেছেন মাইজভান্ডার দরবার শরীফের ইমাম ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভাণ্ডারী।
তিনি বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে জশনে জুলুস (আনন্দ র্যালি) আয়োজনের মধ্য দিয়ে সত্যপন্থীদের জাগরণ ঘটেছে এবং জঙ্গি, উগ্র অপশক্তির পতনের বার্তা দেওয়া হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার বাদে জুমা চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড ভাটিয়ারী মাদাম বিবির হাটে বিভিন্ন দলের উদ্যোগে আয়োজিত জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) অনুষ্ঠানে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
বিএসপি চেয়ারম্যান আরো বলেন, বর্তমানে একশ্রেণির লোক ইসলামের মৌলিক আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। তাদের কারণে শান্তি সমপ্রীতির ধর্ম ইসলামকে নেতিবাচক ধারায় উপস্থাপন করা হচ্ছে। অথচ মহানবীর (দ.) সব কর্মের প্রধান উপজীব্য হল মানবতাবোধ, মানুষের মুক্তি ও কল্যাণ সাধন। তিনি শিক্ষা দিয়েছেন সাম্য মৈত্রী, ভ্রাতৃত্ববোধ, বৈষম্যহীনতা ও ন্যায়পরায়ণতার। তিনি আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাজধানী ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য আনজুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়ার উদ্যোগে জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) ও আন্তর্জাতিক শান্তি মহাসমাবেশে দলে দলে যোগদান করতে সকল নবী প্রেমিকদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম–৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড ৯নং ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যা নাজিম উদ্দীন, হযরত শাহজাহান শাহ (রহঃ) মাওলানা জামে মসজিদের খতিব শাহজাদা মাওলানা আহমদুল হক মাইজভাণ্ডারী। এতে সভাপতিত্ব করেন, জশনে জুলুস পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ আলম কন্ট্রাক্টর। এ ছাড়াও এলাকার অন্যান্য নেতৃস্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিকসহ হাজারো নবী প্রেমিক জনতা উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।