ইমপেরিয়াল হাসপাতালে নবজাতকের জন্য ডেডিকেটেড অ্যাম্বুলেন্স

ওয়ার্ল্ড প্রি-ম্যাচিউরিটি ডে’তে নানা আয়োজন

| বৃহস্পতিবার , ১৮ নভেম্বর, ২০২১ at ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ

‘বিচ্ছেদ নয়, দ্রুত ব্যবস্থা নিন, অপরিণত নবজাতককে খুব দ্রুত বাবা-মায়ের সান্নিধ্যে আনুন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ইমপেরিয়াল হাসপাতালে পালিত হয়েছে ওয়ার্ল্ড প্রি-ম্যাচিউরিটি ডে। অপরিণত শিশুদের সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, এর প্রতিকার ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সম্পর্কে জনগণ এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জানাতে ২০০৮ সালে রোম ডিক্লারেশনের মাধ্যমে পূর্ণতা পায় দিবসটি। বিশ্বব্যাপী সেই আন্দোলনের অংশ হিসেবে ইমপেরিয়াল হাসপাতাল দিবসটি উদযাপন করে।
গতকাল বুধবার দিবসটি উপলক্ষে ইমপেরিয়াল হাসপাতালের শিশু রোগ বিভাগ এবং প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের উদ্যোগে বৈজ্ঞানিক সেমিনার হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন। তিনি বলেন, করোনার কারণে ইমপেরিয়াল হাসপাতালের অগ্রগতি কিছুটা ব্যহত হলেও আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে শিশুদের প্রয়োজনের তুলনায় গুণগত মান সম্পন্ন চিকিৎসার প্রচুর ঘাটতি রয়েছে। এই উপলদ্ধিকে সামনে রেখে ইমপেরিয়াল হাসপাতাল অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ একটি পূর্ণাঙ্গ শিশু রোগ বিভাগ স্থাপন করেছে। বিভাগে ৪০ জনের টিমে প্রশিক্ষিত ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ান চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে। এই ইউনিটে প্রি-ম্যাচিউর, নবজাতকদের জন্য ১২টি আলাদা শয্যাসহ কেএমসি রয়েছে। বাংলাদেশে এই প্রথম নবজাতকদের জন্য ডেডিকেটেড অ্যা্যাম্বুলেন্স রয়েছে। যেখানে ডেডিকেটেড মেডিকেল টিম ডাক্তার, নার্স, ভেন্টিলেটরসহ প্রয়োজনীয় লাইফ সাপোর্টের ব্যবস্থা আছে। এই পর্যন্ত ২০০ এর অধিক প্রি-ম্যাচিউর শিশুদের চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে। এই ইউনিটে নিউবর্ন স্ক্রিনিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে জন্মগত ক্রটি যেমন হৃদযন্ত্র, হরমোন, হাড় জোড়া, চোখ, কানের জন্মগত ক্রটি নির্ণয়ের ব্যবস্থা রয়েছে, যা চট্টগ্রামে এখনো পর্যন্ত ইমপেরিয়াল হাসপাতালই করে থাকে।
তিনি আরো বলেন, অপরিণত নবজাতকের চোখের রেটিনার রক্তনালী অপরিণত থাকায় অন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকি প্রি-ম্যাচিউর নবজাতকের চিকিৎসায় অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিত অক্সিজেন থেরাপি দিলেও চোখের রেটিনার রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বাচ্চা অন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই অপরিণত নবজাতককে যত দ্রুত সম্ভব উন্নত ব্যবস্থা সম্বলিত হাসপাতালে স্থানান্তর করার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু রোগ বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা বদরুল আলম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইমপেরিয়াল হাসপাতালের শিশু রোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. ফয়সল আহমদ। নির্ধারিত বিষয়ের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. উৎপল চৌধুরী, ডা. মো. আনোয়ার হোসেন, ডা. এটিএম মাহমুদুর রহমান ও ডা. দিল আনজিজ বেগম।
বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্যবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের নিওনেটোলজি বিভাগের প্রধান আধ্যাপক ডা. ওয়াজীর আহমেদ, ইমপেরিয়াল হাসপাতালের শিশু রোগ বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা রাশেদা সামাদ, প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. শিরিন ফাতেমা ও শিশু রোগ বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. উৎপল চৌধুরী। সমাপনী বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক কর্মকর্তা অধ্যাপক ডা. তারেক আল নাসির। এর আগে সকালে র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের ভারতের ভিসা প্রাপ্তি সহজ করা হবে
পরবর্তী নিবন্ধযাত্রাশিল্পের পরিশীলিত চর্চাকে উৎসাহিত করতে হবে