ইতিবাচক চিন্তা করা উচিত

শুভ্র শাকের | সোমবার , ২৮ নভেম্বর, ২০২২ at ৭:৪০ পূর্বাহ্ণ

কয়েকদিন ধরে টাইমলাইনে ঘুরছে ৪র্থ শ্রেণির এক ছাত্র ‘মুহতাদী’-র লেখা দরখাস্তটা। সে মন খারাপ থাকায় স্কুলে যেতে পারে নি মর্মে দরখাস্তে প্রধান শিক্ষকের কাছে ছুটি চেয়ে আবেদন করে। কিন্তু আমরা আম-পাবলিক ব্যাপারটাকে হাসির খোরাক বানিয়ে ফেলেছি। ভুলে যাচ্ছি মানসিক স্বাস্থ্য বলেও একটা ব্যাপার আছে। ভুলে যাচ্ছি শরীর ও মন একে অন্যের পরিপূরক। শরীর খারাপ হলে মন খারাপ হয় আবার মন খারাপ হলে শরীরও ঠিকমতো সায় দেয় না। উন্নত দেশের মতো আমাদের দেশে হয়তো মানসিক স্বাস্থ্যে গুরুত্ব দেওয়ার মতো ব্যবস্থা নেই। কিন্তু বিবেকবান মানুষদের অন্তত বুঝা উচিত ছেলেটা মিথ্যার আশ্রয় গ্রহণ করে নি। সে চাইলেই ইনিয়ে বিনিয়ে একটা গল্প রচনা করে ঠিকই দরখাস্তটা দিতে পারতো। হয়তো গুছানো কাহিনিটা পড়ে শিক্ষকও ছুটি মঞ্জুর করতেন। কিন্তু যত ঝামেলা হলো সব সত্য বলায়। সে দরখাস্ত দিল শিক্ষক বরাবর। সেটা ঐ শিক্ষক বা যিনি ফাঁস করলেন তার মানসিকতা দেখে লজ্জা লাগছে। দরখাস্তটা ভালোভাবে গ্রহণ করে ভাইরাল হলে হয়তো ব্যাপারটা অন্যরকম হতো। কিন্তু যেভাবে হাস্য-রসের উপাদান বানিয়ে ভাইরাল করা হলো তা দেখে সত্যি ‘মুহতাদী’ এবং তার পরিবারের জন্য খারাপ লাগছে। জানিনা তারা মানসিকভাবে কতটা ভেঙে পড়েছেন। আমরা কি কখনোই কোনোকিছু ভালোভাবে নিতে শিখবো না? এই ট্রলের ফলাফল কী হয় তা কি নতুন করে আবার মানুষকে শেখাতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশীতার্তদের পাশে দাঁড়ান
পরবর্তী নিবন্ধকান নিয়েছে চিলে