ইতালি থেকে পার্সেলে আসা ‘অস্ত্রগুলো সব খেলনার’

মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতি

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৩ মার্চ, ২০২৩ at ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ

বন্দরের প্রধান ডাকঘর থেকে ফরেন পার্সেলের মাধ্যমে ইতালি থেকে ২টি ৮ এমএম পিস্তল, ২টি পিস্তল সদৃশ খেলনা এবং ৬০টি কার্তুজ উদ্ধারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দুই আসামিকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন আগ্রাবাদ সিজিএস কলোনির বাসিন্দা ও চট্টগ্রাম কর অঞ্চল১ এর কর্মচারী (বর্তমানে বরখাস্ত) মজুমদার কামরুল হাসান ও ইতালি প্রবাসী রাজীব বড়ুয়া।

 

গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ জেবুন্নেছা শুনানি শেষে অব্যাহতির এই আদেশ দেন। এর আগে পুলিশের পক্ষ থেকে কাস্টমস আইনে এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন ও অস্ত্র আইনে করা পৃথক দুটি মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ত্রগুলো সব খেলনার ছিল।

মহানগর পিপি আবদুর রশিদ আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আদালত সূত্র জানায়, ঘটনা পরবর্তী হালিশহরের শ্বশুর বাড়ি থেকে মজুমদার কামরুল হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। রিমান্ডে নিয়ে তাকে

জিজ্ঞাসাবাদ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। প্রায় তিন মাসের মতো তিনি কারাগারেও ছিলেন। অন্যদিকে রাজীব বড়ুয়া পলাতক ছিলেন।

গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি গৃহস্থালী পণ্যের ঘোষণা দিয়ে দুটি ৮ এমএম বিদেশি পিস্তল, দুটি পিস্তল সদৃশ খেলনা ও ৬০টি কার্তুজসহ ফরেন পার্সেলটি উদ্ধার করেন কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার জোসনা আক্তার। মজুমদার কামরুল হাসানের কাছে ইতালির রোম থেকে রাজিব বড়ুয়া পার্সেলটি পাঠান। পরে

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় ফরেন পার্সেলটি কায়িক পরীক্ষা করা হয়। পরদিন ২১ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনায় কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মজুমদার কামরুল হাসান ও রাজিব বড়ুয়াকে আসামি করে কাস্টমস আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন ও অস্ত্র আইনে বন্দর থানায় মামলা করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবৈদ্যুতিক শক দিয়ে একব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ
পরবর্তী নিবন্ধরাশিয়া থেকে গম নিয়ে আসা দুইটি জাহাজ আটকা