ইতালিতে কট্টর ডানপন্থী জর্জা মেলোনির জয়

বাংলাদেশিদের মধ্যে উদ্বেগ

| বুধবার , ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ

ইতালির নির্বাচনে কট্টর ডানপন্থী জর্জা মেলোনি জয় পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন। এর ফলে তিনি এখন দেশটির ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তিনি ইতালির সবচেয়ে কট্টর সরকারের নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউরোপের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে ইতালির সম্ভাব্য সে পরিবর্তনের প্রভাব হয়ত দেখা যাবে গোটা ইউরোপের ওপরই। খবর বিবিসি বাংলার।
তবে নির্বাচনের পর মোলোনি বলেছেন, তার দল ব্রাদার্স অব ইতালি সবার জন্য কাজ করবে এবং মানুষের ভরসার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না। কিন্তু নির্বাচনে দলটির প্রধান ইস্যু ছিল অভিবাসন। অবৈধ অভিবাসন ঠেকানোর জন্য তারা কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মেলোনির জোটের অন্যান্য শরিক দলগুলোরও দাবি অভিবাসন কমানো এবং দেশটির উপর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রভাব দুর্বল করা।
চাপ সৃষ্টি হবে অভিবাসীদের ওপর : ইউরোপে ঢোকার জন্য প্রতি বছর ভূমধ্যসাগর হয়ে এবং স্থলপথেও প্রচুর মানুষ ইতালিতে যান। এদের মধ্যে প্রচুর বাংলাদেশিও রয়েছেন। ইতালিতে অভিবাসী বাংলাদেশিরা বলছেন, এই মুহূর্তে ইতালিতে বৈধভাবে কাজ করছেন এক লাখের বেশি বাংলাদেশি। এছাড়া এখনো কাজকর্ম এবং চাকরির বৈধ কাগজপত্র নেই কিংবা হওয়ার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, এমন বাংলাদেশির সংখ্যাও ৫০ হাজারের বেশি।
ইতালির রাজধানী রোম ও ভেনিসে কাজ করছেন এমন কয়েকজন বাংলাদেশির সাথে কথা হয়। তাদের মধ্যে এক ধরনের চাপা উদ্বেগ কাজ করছে। তবে যারা কাজ ও বসবাসের বৈধ কাগজপত্র পেয়েছেন তাদের মধ্যে সেটি কিছুটা কম। কিন্তু যারা এখনো স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পাননি তাদের আশঙ্কা যে নতুন সরকার অভিবাসন নীতি কঠোর করলে তাদের বৈধতা পেতে সমস্যা হবে। এছাড়া মুসলমান বিরোধী মনোভাবের শিকার হতে পারেন-এমন আশঙ্কাও রয়েছে অনেকের মনে। ইতালির বাংলাদেশ সমিতির সাবেক সভাপতি নুর আলম সিদ্দিকী বাচ্চু অবশ্য মনে করেন, অভিবাসীদের প্রতি যত কঠোরই হোক, হয়ত তাদের সরাসরি দেশে ফেরত পাঠাবে না এই সরকার। কিন্তু নানা নিয়মকানুন করে হয়ত তাদের চাপে রাখা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিকি শতাব্দীতে প্রথম অ-গান্ধী সভাপতি পেতে যাচ্ছে কংগ্রেস
পরবর্তী নিবন্ধনগরীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুর মৃত্যু