ইউনিয়ন ও উপজেলায় মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখার নির্দেশ

চট্টগ্রামে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধির শঙ্কা

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৪ এপ্রিল, ২০২২ at ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ

ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধির শঙ্কায় প্রতিটি ইউনিয়ন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা দিয়েছে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়। এপ্রিল-মে মাসে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে উল্লেখ করে প্রতি ইউনিয়নে ১টি এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি করে মেডিকেল টিম পুনর্গঠন করে প্রস্তুত রাখার কথা বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
গতকাল রোববার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীর স্বাক্ষরে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সকল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। একই সাথে ডায়রিয়া সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী মজুদ রাখার কথাও বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, ১৫ উপজেলার হাসপাতালগুলোর জরুরি বিভাগ, আউটডোর ও ইনডোরসহ সব মিলিয়ে এই কয়দিনে ৯৪ জন ডায়রিয়া রোগী রেকর্ড হয়েছে। আর জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত রেকর্ডকৃত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৪ জন।
নির্দেশনা জারির তথ্য নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী আজাদীকে বলেন, ডায়রিয়া রোগী এখনো সেভাবে বাড়েনি। তবে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত এই রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাই আগাম প্রস্তুতি রাখতে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি, যাতে প্রকোপ বাড়লে ত্বরিত গতিতে ব্যবস্থা নেয়া যায়।
মহানগরে ডায়রিয়া পরিস্থিতি : এখন পর্যন্ত মহানগরে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ার খবর পাওয়া যায়নি। মহানগরে সরকারি বেশ কয়টি হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে। যদিও স্বাভাবিকের তুলনায় দুই-একজন করে রোগী বেড়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে সব মিলিয়ে ১১ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। এ সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় তেমন বেশি নয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশু বিভাগে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১০ জনের বেশি নয় বলে জানিয়েছেন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. জগদীশ চন্দ্র দাশ। অন্যদিকে, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ২২ জন রোগী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি হাসপাতালে। এটি স্বাভাবিকের চেয়ে খুব বেশি নয় বলে জানিয়েছেন বিআইটিআইডির ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মামুনুর রশীদ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইমরান আর প্রধানমন্ত্রী নন
পরবর্তী নিবন্ধকরোনার ধাক্কা সামলে আবার পুরোদমে উৎপাদন