কাতার বিশ্বকাপে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবলে আলো ছড়াচ্ছে ইংল্যান্ড। এখন পর্যন্ত আসরে তারা করেছে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ১২ গোল। প্রায় সব ম্যাচেই তাদের দেখা গেছে গতি দিয়ে প্রতিপক্ষকে বিপদে ফেলতে। সঙ্গে সেট–পিসে তারা আগে থেকেই বেশ কার্যকর। কোয়ার্টার–ফাইনালে তাদের বিপক্ষে লড়াইয়ের আগে দলটির শক্তির জায়গাগুলো নিয়ে সাবধানী ফ্রান্স কোচ দিদিয়ে দেশম। প্রথম ম্যাচে ইরানকে ৬–২ ব্যবধানে হারায় ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোলশূন্য ড্রয়ের পর শেষ ম্যাচে ওয়েলসকে ৩–০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড । এরপর শেষ ষোলোয় সেনেগালের বিপক্ষেও একই স্কোরলাইনে জেতে তারা।
আজকের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংলিশদের মুখোমুখি হচ্ছে ফ্রান্স। এর আগে সংবাদ সম্মেলনে ইংল্যান্ড দলকে প্রশংসায় ভাসান ফরাসি কোচ দিয়ে দেশম। তিনি বলেন ইংল্যান্ডের গতিময় ফুটবল তারা কীভাবে সামলাবেন, তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করবে ম্যাচের ভাগ্য। গতি প্রায়শই সফলতার একটি চাবিকাঠি। কারণ গতিময় আক্রমণের সময় প্রতিপক্ষ সংগঠিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় পায় না। তবে গোল করার জন্য গতির চেয়ে আরও কিছুর প্রয়োজন হবে। তবে খুব গতিসম্পন্ন কাউকে থামানো খুব কঠিন। পাল্টা আক্রমণে। ইংল্যান্ড ট্রানজিশনে খুব শক্তিশালী। তাদের অর্ধেকেরও বেশি গোল এসেছে দ্রুতগতির পাল্টা আক্রমণ থেকে।
কিন্তু তাদের অন্যান্য গুণাবলীও আছে। তাদের টেকনিক্যাল দক্ষতা আছে। গোল করার সামর্থ্য আছে এবং সেট–পিসেও তারা কার্যকর।