আ. লীগকে বিচারের আওতায় আনা উচিত : নাহিদ

আজাদী ডেস্ক | সোমবার , ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ৮:০৮ পূর্বাহ্ণ

মানবতাবিরোধী অপরাধী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনা উচিত এবং সে সুযোগ ট্রাইব্যুনালের আছে বলে মনে করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। গত বছরের জুলাইআগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে করা মামলায় সাক্ষ্যদান ও জেরা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল১ এ গতকাল তার জেরা শেষ হয়। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারক মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। এদিকে জেরায় নাহিদ জানিয়েছেন, ইউনূসকে সরকারপ্রধান হওয়ার প্রস্তাব কারো ইন্ধনে হয়নি। খবর বিডিনিউজের।

তিন দিনব্যাপী সাক্ষ্য ও জেরা শেষ করে নাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাইব্যুনালে তিনি ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেছেন। এটা পৃথিবীর ইতিহাসে লেখা হয়ে থাকবে এবং এ মামলা এখন পর্যন্ত ব্যক্তি হিসেবে শেখ হাসিনাকে আসামি করে মামলা চলমান আছে। কিন্তু আমরা এটা মনে করি যে, এটা শুধু ব্যক্তির সংগঠিত অপরাধ নয়, বরং এটা রাজনৈতিক অপরাধ। ফলে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনা উচিত। ট্রাইব্যুনালের সে সুযোগ আছে।

তিনি বলেন, আমরা ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন জানাব, ট্রাইব্যুনালের কাছে এখন যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ এসেছে এবং শেখ হাসিনা যেহেতু দলীয় প্রধান এবং রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করতে ক্ষমতায় টিকে থাকতে জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে জনগণকে হত্যার সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন। জনগণ প্রতিরোধ করে তাকে উৎখাত করেছে। ফলে এটা আওয়ামী লীগের সংগঠিত অপরাধ রাজনৈতিকভাবে। আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে বিচারের আওতায় দ্রুত সময়ের মধ্যে আনা উচিত।

ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলামও নাহিদের বক্তব্যের সমর্থনে কথা বলেন। তিনি বলেন, নাহিদ যে কথাটা বলেছেন যে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের অপরাধের সম্পৃক্ততা বা প্রমাণ পাওয়া গেছে; দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার হওয়া যেতে পারে। ডেফিনিটলি আইনে সে সুযোগ আছে। এখন ট্রাইব্যুনাল বা তদন্ত সংস্থায় যদি কেউ সরাসরি অভিযোগ করে, তাহলে সুবিধা হয় সেটা তদন্ত করার জন্য। এর বাইরেও যেহেতু যে সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ আদালতে উপস্থাপিত হয়েছে ব্যক্তির বিরুদ্ধে, যে সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ আসছে, সেসব সাক্ষ্যপ্রমাণের মধ্যেও দল হিসেবে সে সময়ের ক্ষমতাসীন যে দল ছিল আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ১৪ দল, তাদের সম্পৃক্ততার অকাট্য প্রমাণ কিন্তু আদালতে আসছে। সুতরাং এ সিদ্ধান্ত নেবার সুযোগ আছে। প্রসিকিউশন এ ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানান তিনি।

ইউনূসকে সরকারপ্রধান হওয়ার প্রস্তাব কারো ইন্ধনে নয় : মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হওয়ার প্রস্তাব দেওয়ার পেছনে দেশিবিদেশি শক্তির ইন্ধন ছিল না বলে সাক্ষ্যের জেরায় বলেছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল১ এ বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চে এ জেরা হয়। ৪৭তম সাক্ষী নাহিদকে জেরা করেন শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রের নিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশে ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৯ মৃত্যু, ভর্তিও সর্বোচ্চ
পরবর্তী নিবন্ধকক্সবাজার সৈকতে লাইফগার্ড সেবা বন্ধ হচ্ছে আগামী মাসে