আয়াতের পর এবার মাহিয়া

অপহরণের তিন দিন পরে খাল থেকে লাশ উদ্ধার

মহেশখালী প্রতিনিধি | রবিবার , ৪ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৬:০৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের আলোচিত শিশু আয়াত হত্যাকাণ্ডের রেশ না কাটতেই মহেশখালীতে প্রায় একই কায়দায় ঘটল মাহিয়া নামের ৭ বছরের আরেক শিশু খুনের ঘটনা। অপহরণের তিন দিন পর গতকাল শনিবার বিকেলে পার্শ্ববর্তী উপজেলা পেকুয়ার করিয়ার দিয়া নামক এলাকার ডউয়াখালী চিংড়ি প্রজেক্টের খাল থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।

জানা যায়, মহেশখালীর মাতারবাড়ী ইউনিয়নের সাইরার ডেইল গ্রামের আয়াত উল্লাহর ৭ বছর বয়সী শিশু কন্যা মাহিয়া বাড়ির পাশের সাইরার ডেইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। প্রতিদিনের ন্যায় গত ৩০ নভেম্বর সকালে স্কুলে গিয়ে বিকাল পর্যন্ত বাড়িতে ফিরে না আসায় মা-বাবাসহ আত্মীয়-স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে। সন্ধান না পেয়ে পরদিন শিশুটির পিতা মহেশখালী থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

এদিকে গতকাল শনিবার দুপুর ২টায় পার্শ্ববর্তী পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের করিয়ার দিয়া নামক এলাকার একটি চিংড়ি প্রজেক্টের খালে একটি শিশুর লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় জনতা উজানটিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল করিমকে জানান। তিনি বিষয়টি পেকুয়া থানাকে জানালে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি ওমর হায়দার বলেন, উজানটিয়ার ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খবর পেয়ে শিশুর লাশটি উদ্ধার করা হয়।

পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় উদ্ধারকৃত শিশুর লাশটি মহেশখালী থানার মাতারবাড়ির সাইরার ডেইল গ্রামের আয়াত উল্লাহর শিশু কন্যা। তিনদিন আগে শিশুটি নিখোঁজ হয় মর্মে মহেশখালী থানায় জিডি করা হয়েছে। বিষয়টি মহেশখালী থানার মাধ্যমে নিখোঁজ শিশুর মা-বাবাকে জানালে তারা এসে উদ্ধারকৃত লাশটি তাদের সন্তান মাহিয়ার বলে সনাক্ত করেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কঙবাজার হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

নিহত শিশুর পিতা আয়াত উল্লাহ জানান, ঘটনার পর থেকে তার কয়েকজন ভাড়াটিয়া পলাতক রয়েছে। ধারণা করছি মাহিয়াকে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে তারাই অপহরণ করেছিল। অপহরণের পর অজ্ঞাত একটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল। মুক্তিপণ না পাওয়ায় মেয়েকে হত্যা করে লাশ খালে ফেলে দিয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশে একটা গণ্ডগোল পাকাতে চায় বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬