মানুষ স্বল্প আয়ু নিয়ে কেমনে সবভুলে থাকে। এত ক্ষুদ্র জীবনে কি করে এতো অহংকার নিয়ে চলে। সর্বক্ষণ ভুলে থাকি এই মায়াময় পৃথিবী থেকে একদিন চিরতরে চলে যেতে হবে।
কবরস্থানের পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম, আহা কতো ব্যস্ত মানুষ শায়িত আছে। ভাবতেই অবাক লাগে শুয়ে থাকা মানুষগুলো দু‘দিন আগেও জীবন জীবিকা সংসার সন্তান নিয়ে কতইনা ব্যস্ততা ছিল। সবকিছু ছেড়ে পরিবার পরিজনকে অনিশ্চয়তার মধ্যে রেখে প্রভুর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেল। তাদের পাসপোর্ট ভর্তি ভিসা লাগানো ইয়ার প্ল্যানিং। আমেরিকা যাবে ব্যবসার কাজে, সিঙ্গাপুরের ভিসা চেকআপের জন্য, ভ্রমণে যাবে সুইজারল্যান্ড। তার ব্যবহৃত শখের জিনিসগুলো আলমিরার এক কোনে পড়ে থাকে। যারা ছিলো গুলশানবাসী, বনানীবাসী, খুলশীবাসী, নাসিরাবাদবাসী, তাদের পরিচয় আজ শুধু কবরবাসী। প্রিয়জনদেরর সাথে দেখা না হলে কথা না হলে কতইনা মান অভিমান আবেগী কথা, আজ সব কেবলই স্মৃতি। তারা আজ মাটির সাড়ে তিন হাত নিচে কবরে শুয়ে আছে, আমরা মাটির সাড়ে তিন হাত উপরে হাটছি, আলহামদুলিল্লাহ। যারা অল্প সময়ে এই ধরণী থেকে বিদায় নিয়েছেন তাদের অনেক মিস করি। হঠাৎ মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে বিশেষ করে ফজরের আজানটা অনেক করুণ লাগে বুকে এক চাপা ব্যাথা অনুভব করি সেই সব প্রিয় মুখগুলোকে কি আর ইহকালে দেখবো না। জানিনা আর কতো হাজার বছর অপেক্ষা করতে হবে শেষ বিচারের দিবসে তাদের সাক্ষাতের সৌভাগ্যের জন্য। তখন কেউ কাউকে চিনবে না, যার যার আমলনামা উপস্থাপনের জন্য ব্যস্ত সবাই থাকবে।