আহারে জীবন!

শায়লা আহমেদ | শনিবার , ২ মার্চ, ২০২৪ at ৭:০৯ পূর্বাহ্ণ

জমিদার বাড়ি! নামটি মনে পড়তেই অজানা এক শিহরণ মনকে আন্দোলিত করে তুললো। এর আগে কখনো কোনো জমিদার বাড়ি গিয়েছি কিনা মনে পড়ে না। হয়তো যাই নি। শত বছর আগেকার কোনো এক জমিদার বাড়ি দেখার আগ্রহ তাই মনকে দোলা দিয়ে গেলো। বনবনানী, মেঘলা আকাশ, দিঘি নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমার মনকে টানে। গতকাল হঠাৎ করে রাজা লক্ষ্মী নারায়ণ চন্দ্র’র জমিদার বাড়ি দেখার সৌভাগ্য হলো। জমিদার বাড়ির প্রবেশ পথেই শুকনো পাতা মাড়িয়ে আমরা যখন ভিতরে গেলাম, তখনোই আমার মনটা অন্যরকম হয়ে গেলো। চারিদিকে সুনসান নীরবতা, এরিমাঝে গাছের পাতার শরশর শব্দ! মনে হচ্ছিল বেদনার হাহাকার লয়ে যেন জমিদার বাড়ির ভগ্ন দালানকোঠাগুলো সঙ্গীবিহীন একাকী দাঁড়িয়ে আছে। সেখানে বাতাসের শব্দও তাই বেসুর শোনাচ্ছে। যতই দেখছি অবাক বিস্ময়ে মন ভরিয়ে নিলাম। কেবলই মনে হচ্ছিলো, সেই যুগে কেমন ছিলো জমিদার বাড়ির লোকজন! কেমন ছিলো তাদের বসতি, তাদের পুজোপার্বণ, কেমন ছিলো তাদের আচারআচরণ! দালানকোঠা, পুকুরঘাট, মন্দির, পুঁজারঘর সব কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কোথাও ভগ্নাবশেষ, কোথাও বা বটের ঝুরি দালানের গা বেয়ে মাটিতে নেমে এসেছেমনে হচ্ছিল এ বুঝি ভুতুড়ে বাড়ি। কোথাও কেউ নেই! মাঝে মাঝে নাম না জানা পাখির ডাকে হাহাকার ধ্বনি ধ্বনিত হতে লাগল। গাঢ় বিষাদে মন ভরিয়ে পাখির ডানায় ভর করে সন্ধ্যা নেমে এল। এমনি করেই বুঝি আমাদের জীবন ফুরিয়ে যায় কিন্তু স্মৃতিগুলো পড়ে থাকে যেমন আছে তেমনি। আহারে জীবন!

পূর্ববর্তী নিবন্ধরমজান মাসে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিকারীদের আইনের আওতায় আনা হোক
পরবর্তী নিবন্ধপটিয়াতে একুশে বইমেলা! পটিয়ার ইতিহাসে অনন্য অর্জন