ভয়াবহ রকমের বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপো পরিদর্শন শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় আহতদের সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব সরকার নিয়েছে। যেখানে যত অর্থ লাগবে, বাহির থেকে যে ওষুধ ক্রয় করতে হচ্ছে, সেটাও ডিসি সাহেব কিনে দিচ্ছেন। তিনি বলেন, আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কোনো ধরনের ওষুধ ও খাবার সংকট নেই। চিকিৎসার জন্য যা কিছু প্রয়োজন, সবকিছুর ব্যবস্থা হবে।
৪১ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে জানিয়ে এনামুর রহমান বলেন, তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ৯ জন। মরদেহগুলোর মধ্যে ২২টি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি বলেন, ঘটনার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সজাগ রয়েছেন। যেখানে যে সাহায্য লাগে সেখানেই তা করার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের পক্ষে থেকে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে। বর্তমানে চমেক হাসপাতালে ৮২ জন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২, পার্কভিউ হাসপাতালে ১০, চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ৪ জন ও ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ণ অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেনাবাহিনী উন্নত চিকিৎসার জন্য ৭ জনের দায়িত্ব নিয়েছে, তার মধ্যে ২ জন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিটি দুর্ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করি। হয়তো শতভাগ আমরা সংশোধন হতে পারি না। প্রতিদিন দুর্যোগ মোকাবিলা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাড়ছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিমন্ত্রী সবাইকে সতর্কতার সাথে পরিস্থিতি সামাল দেয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।
এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, স্থানীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলম, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।