মানব জীবনে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ প্রবাহিত হয়। সকাল অবদি রাত পর্যন্ত। কিন্তু তারিই মাঝেই একটু সময় পেলে কিছু জ্ঞানী গুণী, বুদ্ধিমানরা পরচর্চায় মশগুল হয়ে পড়ে। ভাবতে অবাক লাগে, অনেক প্রতিষ্ঠিত উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি এই বচনে মেতে উঠে। যারা সমাজ সংস্কারের কাজে ইতিবাচক সাড়া দিবে, তারাই হয়ে উঠে পরচর্চার মূল নায়ক। কেন এই বদ অভ্যাসের বেড়াজালে নিজেকে আবদ্ধ রাখে তার প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলে, তার কোন গোছানো উত্তর পাওয়া যায় না, বরং দৃশ্যত হয় কুৎসিত হাসি কিংবা নিঃশ্চুপ ভূমিকা। আমরা স্রষ্টার বেঁধে দেয়া নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এ পৃথিবীতে স্বল্প সময়ের জন্য এসেছি।তবে কেন এই মূল্যবান সময়ের অন্তজালে পরচর্চার মত নিন্দাসূচক কাজে নিজেকে সঁপে দিব! আমরা কি পারি না নিজের ব্যক্তিত্ব ধরে রাখতে শিল্প, সংস্কৃতিতে মনোনিবেশ করতে কিংবা একটু মানবপ্রেমের মত হাত তালি পাওয়ার মতো সুশ্রী কাজ করতে। আমরা চাইলেই নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন আনতে পারি গঠনমূলক, সৃষ্টিশীল কাজের পরিস্ফুটনের মাধ্যমে। এতেই আমরা সক্ষম হবো নিন্দুক নামের বেহায়া বিশেষণ থেকে নিজেকে পরিত্রাণ দিতে। আসুন সুচিন্তা করি। পরচর্চা থেকে নিজেকে বিরত রাখি। শতো ব্যস্ততার মাঝে কিঞ্চিৎ হলেও মানবপ্রেমে মেলে ধরে ব্যক্তিত্ববান হই।এতে আপন সম্মানের পাল্লা যেমন ভারী হবে, ঠিক তেমনি সর্বজন শিক্ষামূলক, গ্রহণযোগ্য, শান্তিময় বিজ্ঞাপন খুঁজে পাবে।