চট্টগ্রামে বধ্যভূমিতে আলো জ্বালিয়ে স্বাধীনতার জন্য প্রাণ বিসর্জন দেয়া জাতির মেধাবী সন্তানদের স্মরণ করেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল সংগঠনগুলো। গতকাল সন্ধ্যায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মোমের আলোয় শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করে চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রদীপ্ত শিখায় দূরীভূত হোক সকল অন্ধকার-এ প্রত্যয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সূর্যাস্তের পর প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়।
এ সময় মোমের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে শহীদ মিনার এবং পাহাড়তলী বধ্যভূমি। আলোয় স্মরণ করা হয়। আলোয় নেওয়া হয় শপথ। আইন করে স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে এ সময় বক্তারা বলেন, ৩০ লাখ শহীদের আত্মদানে অর্জিত বাংলাদেশ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে কোনো আপস হতে পারে না।
এছাড়া শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করেছে বিভিন্ন পেশাজীবী, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ গতকাল প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারের বেদীতে ফুল দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বুদ্ধিজীবী হত্যা পৃথিবীর ইতিহাসে একটি বর্বরোচিত ও ন্যক্কারজনক ঘটনা। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী একাত্তর সালে তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে জাতিকে মেধাশূন্য করার জন্য দেশীয় দোসরদের সঙ্গে নিয়ে এ দেশের বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। তারই নীলনকশা অনুযায়ী আমরা হারিয়েছি মেধাবী সন্তানদের। আজ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করি।
চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভা ও প্রদীপ প্রজ্বলন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম বলেন, একাত্তরে যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তারা আজও বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নেয়নি। বিজয়ের পাঁচ দশক পরে এসেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্ত থেমে নেই। একাত্তরের মতো এদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
গতকাল বিকালে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে স্মরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের মহানগর সভাপতি ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী। সংগঠনের জেলা সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি নুরুল আলম মন্টু, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, ফজল আহমদ, ফোরকান উদ্দিন আহমেদ, উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দিলুয়ারা ইউসুফ, গৌরী শংকর চৌধুরী, বাদশা মিয়া, সেলিম চৌধুরী, কাউন্সিলর রুমকি সেন, আবদুল মালেক খান, সাহেদ মুরাদ সাকু, অ্যাডভোকেট সাইফুন্নার খুশি, জসিম উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার পলাশ বড়ুয়া, মনোয়ার জাহান মনি, মো. নাজিম উদ্দিন, পংকজ রায়, নুরুল আমিন, অ্যাডভোকেট কামরুল আযম, ফারজানা আকতার মিলা, ইঞ্জিনিয়ার সনাতন বিজয়, ডা. ফজলুল সিদ্দিকী, নবী হোসেন সালাউদ্দিন, মোজাম্মেল মানিক, কামাল উদ্দিন, দীপন দাশ, শহিদুল আলম লিটন, আবদুর রহিম, সোহেল ইকবাল, মঈনুল আলম খান, ইমরান মুন্না, নুরুল হোসেন মাসুদ, মো. হোসেন চৌধুরী সাদ্দাম, এম এইচ মানিক, হাসান মুরাদ, ইসমে আজিম আসিফ, মো. ফয়সাল প্রমুখ।