শোকাবহ উনিশ’শ পঁচাত্তর, পনেরো আগস্ট! কলংকিত সে কাহিনি ভুলতে পারি না আজও আমিহতবাক হয়ে গেছে সমগ্র বাঙালি, পুরো বিশ্ব! যে মহান নেতা উপহার দিল প্রিয় স্বাধীনতা তর্জনী হেলানো সেই বজ্রকণ্ঠের ভাষণে দিলো লাল-সবুজ পতাকা, একটা অখণ্ড মানচিত্র। খুব নিকৃষ্ট আমরা, নিজের পিতার হন্তারক! ইতিহাসের পাতায় কলঙ্কের কালি ছিটালাম শ্রাবণ রাতের শেষ প্রহরে সেদিন মেঘে ঢাকা আকাশ অঝোরে কাঁদছিল ধানমণ্ডির বাসার সিঁড়ি বেয়ে পড়া রক্তস্রোত বঙ্গোপসাগরে মিশে উত্তাল হয়েছে ঢেউ, ঝড় ওঠেছিল চারিদিকে আকাশ-বাতাস, নদী-গিরি জনপদে হাহাকার, ওঠে মাতম, খাঁ খাঁ করে শূন্যতা সর্বত্র।
কখনো দেখিনি তাঁকে; তবু মিশে রয়েছে অস্তিত্বে ধমনীর রক্তস্রোতে অনুভব করি তার তেজ নিঃশ্বাসে বিশ্বাসে যিনি রয়েছেন বাঙালির বুকে কবিতার ছন্দে, সংগীতের তানে, শিল্পীর তুলিতে আজও তাঁকে খুঁজে পাই বক্তৃতার মঞ্চে, জনস্রোতে, দেশের ধূলি-কণার সাথে, সবুজের সমারোহে বাংলার চিরজাগ্রত সূর্যরূপে আলোক ছড়ান শ্রেষ্ঠ সে বাঙালি, বঙ্গবন্ধু, একজন মহানেতা তিনি বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা, এক মহাকাব্য। আজীবন তিনি বেঁচে থাকবেন বাঙালির মনে। তবে আর শোক নয়; রূপান্তরিত হোক শক্তিতে তাঁর দেখানো পথেই এ দেশকে ভালোবেসে যাব সোনার বাংলাদেশ গড়ব সবাই তাঁরই আদর্শে।