আর চিন্তা নেই, তলে তলে আপস হয়ে গেছে : কাদের

| বুধবার , ৪ অক্টোবর, ২০২৩ at ৪:১১ পূর্বাহ্ণ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির নেতারা এখন পথ হারিয়ে দিশেহারা। দুই সেলফিতেই বাজিমাত। এক সেলফি দিল্লিতে, আরেক সেলফি নিউইয়র্কে। শেখ হাসিনাপুতুলজো বাইডেনের সেলফি, দিল্লিতে বাজিমাত, নিউইয়র্কেও বাজিমাত।

তিনি বলেন, কোথায় স্যাংশন, কোথায় ভিসানীতি? তলে তলে আপস হয়ে গেছে। আমেরিকারও দিল্লিকে দরকার। আমরা আছি, দিল্লিও আছে; দিল্লি আছে, আমরাও আছি। শত্রুতা কারো সঙ্গে না, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুকন্যা এমন ভারসাম্য সবার সঙ্গে করে ফেলেছেন, আর কোনো চিন্তা নেই। ইলেকশন হবে, যথাসময়ে হবে। খবর বাংলানিউজের।

গতকাল মঙ্গলবার বিকালে আমিনবাজারে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কাদের বলেন, সব চোর আপত্তি করেছে, কিন্তু শেখ হাসিনাকে হটাতে পারেনি। ক্ষমতায় এসে দেশসহ গিলে খাবে, ওইদিন শেষ। ডিসেম্বরে বলেছিল না, খালেদা জিয়া দেশ চালাবে। মনে আছে? নয় মাস চলে গেছে। এখন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করে। চারপাঁচ বছর আদালতে হাজিরা দেয়নি। এতদিন খালেদা জিয়ার মামলার ফয়সালা হয়ে যেত। হয়তো মুক্তিও পেত। কিন্তু এ মামলা ফয়সালা হয়নি শুধু বিএনপির কারণে। বিএনপি মামলা ঝুলিয়ে রেখেছে। আদালতে ঝুলিয়ে রেখেছে। খালেদা জিয়াকে দিয়ে যদি কিছু করা যায়!

তিনি বলেন, অক্টোবর, অক্টোবরে নাকি পতন। কোন অক্টোবর? এই অক্টোবর না আগামী অক্টোবর। অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে কিছুই হবে না। বাংলার জনগণ বিএনপিকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এই দলের আর দরকার নেই। দুর্নীতির দুর্গন্ধ আছে যে দলে, সেই দল আমরা চাই না।

তিনি বলেন, খেলা হবে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে খেলা হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে। লুটপাটের বিরুদ্ধে খেলা হবে। হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে খেলা হবে। অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে। চোরদের বিরুদ্ধে খেলা হবে।

কাদের বলেন, নির্বাচন বাংলাদেশে ইনশাআল্লাহ হবেই। সুষ্ঠু নির্বাচন হবেই। অবাধ নির্বাচন হবেই। ফ্রিফেয়ার নির্বাচন হবেই। নিষেধাজ্ঞার পরোয়া আমরা করি না। আমরা ভিসানীতির পরোয়া করি না। তিনি বলেন, আমরা ঠিক আছি। আমরা তো শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। তাহলে কেন ভিসানীতি? কেন নিষেধাজ্ঞা? কেউ নিষেধাজ্ঞা দেবেন না। নিষেধাজ্ঞার হুমকিধমকির দিন শেষ।

বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দেখেন না ফখরুলের গলার আওয়াজ নরম হয়ে গেছে। আহারে বেচারা ছুটে ছুটে ঠাকুরগাঁও যান। ঠাকুরগাঁও গিয়ে খোঁজেন লোকজন আছেনি। লোকজন আসতে আসতে কেটে পড়বে। লোক আর থাকবে না। বিএনপির এ লাফালাফি, বাড়াবাড়িতে জনগণের কোনো লাভ নেই। তারা আবারও চুরি করবে, আবারও লুটপাট করবে, আবারও দুর্নীতি করবে, আবারও বিদ্যুতের জায়গায় খাম্বা দেবে। এসব উদ্দেশ্য নিয়ে বস্তায় বস্তায় টাকা বানাবে। এজন্যই এত লাফালাফি। যদি কোনোভাবে ক্ষমতায় বসা যায়।

তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র গিলে খাবে। এরা বিদ্যুৎ গিলে খাবে। এরা ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে গিলে খাবে। এরা ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে গিলে খাবে। এরা ক্ষমতায় গেলে আবারও দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উদ্দেশ্যে বলেন, তারেক রহমান মুচলেকা দিয়েছিলেন আর রাজনীতি করবেন না। আরে কাপুরুষ সাহস থাকলে বাংলার মাটিতে আয়। মায়ের অসুস্থতার জন্য আন্দোলন করবি তো ঢাকার মাঠে এসে আন্দোলনের ডাক দে। সাহস না থাকলে আন্দোলনের কথা কেন বলিস? কাপুরুষের আন্দোলন কোনো দিনও সফল হবে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএকটি ব্যাগ, কাটা মাথা ও একজন আনারকলির কথা
পরবর্তী নিবন্ধআন্দোলনের নামে অগ্নিসন্ত্রাস হলে ক্ষমা নয় : প্রধানমন্ত্রী