দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান ওরফে হৃদয়ের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল ‘রেড নোটিশ’ জারি করেছে বলে জানিয়েছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন। পুলিশ হত্যা মামলার আসামি আরাভের সাথে পুলিশের ঊর্ধ্বতন সাবেক কোনো কর্মকর্তার সম্পর্কের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
গতকাল দুপুরে সিএমপির কোতোয়ালী থানার এনায়েত বাজার পুলিশ ফাঁড়ি উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পুলিশ ইন্সপেক্টর হত্যা মামলার আসামি আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করার জন্য ইন্টারপোলের কাছে পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। কিছুক্ষণ আগে জানতে পেরেছি সেটা ইন্টারপোল করেছে।
আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন বলেন, পুলিশ হত্যা মামলায় যে নামে চার্জশিট হয়েছে, সেই নামে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ইন্টারপোল সেটি করেছে। এখন বাকি কাজ তারা করবে।
পুুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই আরাভ আর কেউ নন, ঢাকায় পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম, যিনি ভারতীয় পাসপোর্টে দুবাই গেছেন।
আরাভ খানের ব্যাপারে আইপিজি বলেন, তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানায়। তার বিরদ্ধে ৯টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা গেছে। মামলার সংখ্যা আরও বেশি। আরাভ বেশ কয়েকটি বিয়েও করেছেন। গ্রামে প্রচার রয়েছে, তার বিয়ের সংখ্যা অন্তত ২০টি। আরাভ খানের সঙ্গে পুলিশের সাবেক এক কর্মকর্তার সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। উপযুক্ত সময়ে আপনাদের জানাব।
ওমরা পালন শেষে সৌদি আরব থেকে ফেরার সময় বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আবার আদালত থেকে তিনি জামিন পেয়েছেন। তার মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।
রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বিষয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিষয়টি নজরদারিতে আছে। পাহাড়ে খুনোখুনির ঘটনায় মামলা হচ্ছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করছে। যখন যেখানে যে অপরাধ হচ্ছে পুলিশ সেটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। আইন–শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান তিনি।
এনায়েত বাজার পুলিশ ফাঁড়ি উদ্বোধনের সময় সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেনসহ পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
