দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৪৯৯ জন। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনা পরিস্থিতির এই সর্বশেষ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ১৪৯৯ জনকে নিয়ে দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৭১ হাজার ৬৩১ জন হলো। আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ৩০ জনকে নিয়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৪০৫ জনে দাঁড়াল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৬৫১ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৮৩৩ জন হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
বাংলাদেশে করোনার প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ। তা সাড়ে তিন লাখ পেরিয়ে যায় ২১ সেপ্টেম্বর। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৫৫ লাখ পেরিয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১০ লাখ ৪৪ হাজারের ঘরে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ষষ্ঠদশ স্থানে আছে বাংলাদেশ। মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৯তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১০৯টি ল্যাবে ১২ হাজার ৩৪৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২০ লাখ ১৩ হাজার ৭৭৬টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ১৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২০ জন, নারী ১০ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ১৭ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ২ জন করে মোট ৪ জনের বয়স ছিল ৪১ থেকে ৫০ ও ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ১ জন করে মোট ২ জনের বয়স ছিল ২১ থেকে ৩০ ও ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল। ১৯ জন ঢাকা বিভাগের, ৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন করে মোট ৬ জন খুলনা, বরিশাল ও রংপুর বিভাগের এবং ১ জন সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।