আরও তিন রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার দুজনকে রিমান্ডে চায় পুলিশ

মুহিবুল্লাহ হত্যা

টেকনাফ প্রতিনিধি | রবিবার , ৩ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:০৮ পূর্বাহ্ণ

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যার ঘটনায় আরও তিন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ ও ১৪ এপিবিএনের সদস্যরা। আটককৃত রোহিঙ্গারা হলেন শওকত উল্লাহ, জিয়াউর রহমান ও আব্দুস সালাম। এদের মধ্যে শওকত উল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে উখিয়া থানা পুলিশ। অন্যদিকে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের একটি টিম উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে জিয়াউর রহমান ও আব্দুস সালামকে আটক করে। আটককৃত দুজনকে রাতেই উখিয়া থানায় হস্তান্তর করেছে এপিবিএন। ক্যাম্প নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) নাঈমুল হক গতকাল শনিবার দুই রোহিঙ্গা আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, শুক্রবার দুপুরে এপিবিএনের সদস্যরা মোহাম্মদ সেলিম প্রকাশ ওরফে লম্বা সেলিমকে আটক করেছিলেন। পরে তাকে উখিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ নিয়ে মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন চার রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে উখিয়া থানা পুলিশ।
বিডিনিউজ জানায়, মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তারদের মধ্যে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ। শনিবার বিকালে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম দেলোয়ার হোসেনের আদালতে এই দুই আসামির রিমান্ড আবেদন কার হয়। আদালত রোববার জামিন আবেদনের শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে। যে দুই আসামির রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন কুতুপালং ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-ব্লকের বাসিন্দা নুর বশরের ছেলে মো. সেলিম (৩৩) এবং মধুরছড়া ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-১৫ ব্লকের রহিম উল্লাহর ছেলে শওকত উল্লাহ (২৩)।
গত বুধবার রাতে সন্ত্রাসীরা গুলি করে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যা করে। পরের দিন বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের ভাই হাবিব উল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরপ্তানি পণ্যের কন্টেনার না নিয়েই বন্দর ছাড়ছে জাহাজ
পরবর্তী নিবন্ধমৃত্যুহীন দিনে চট্টগ্রামে নতুন শনাক্ত ৩২