কত ভাই দিল বুকের রক্ত, কত বোন দিল সম্ভ্রম
পাকিস্তানীরা ছিল বাংলার কোটি মানুষের যম।
দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন, পুড়ছে মানুষ জন
আগুনে পুড়ে ছাই হলো বাড়ি পশু–পাখি আর বন।
সেনাদের দেখে দৌড়ে পালালো,
লুকালো ঘরের খাটে
বুকের উপর বুটের লাথি, চোখ বেঁধে নিল ঘাটে।
তারপর? তারপর, সবশেষ।
ব্রাশ ফায়ারে সবার সাথে ঢ‘লে পড়লো নিখিলেষ।
এইভাবেই,
ত্রিশলক্ষ শহীদের আত্মবলিদানে আমার বাংলাদেশ।
রাজাকাররা ছিল তখন পাকিস্তানের দোসর
বাঙালিদের কাছে তারা নৃশংস বর্বর।
মৃত মায়ের স্তন খুঁজেছে দুগ্ধপোষ্য শিশু
আদর করে বাবা–মা তার নাম দিয়েছিল যিশু।
পুত্রহারা দুঃখিনী জননী পথপানে চেয়ে অবিরত
এই বুঝি এসে ডাকলো ‘মা’ বলে
জড়িয়ে সোহাগ কত।
উদোম করে লিঙ্গ কাটে আমার হিন্দু ভাইয়ের,
উল্লাসে হাসে, স্তন কেটে নেয় আমার বোন ও মায়ের।
পরাজয় জেনে মেধাশূন্য করে
অভিনব এক সত্তা
রায়ের বাজারের বধ্যভূমিতে
বুদ্ধিজীবীদের হত্যা।
চোখের ডাক্তারের চোখ তুলে নেয়,
হার্টের ডাক্তারের হার্ট
পাকিস্তানীদের অপারেশন সার্চ লাইটের
এটা একটা পার্ট।
ডিসেম্বর এলো বিজয় উল্লাসে বাংলা আত্মহারা,
কত বধু দিল সিঁথির সিঁদুর, কত মা সন্তান হারা।
উল্টো করে ঝুলিয়ে দিল মুক্তিযোদ্ধার রক্তাক্ত শরীর
তৃপ্তির হাসিতে মদদ দাতা আলবদর আর
রাজাকারের ভীড়।
স্থানে স্থানে কত সমাধি, স্মৃতি এঁকে দিল এইদেশে
অত্যাচারীরা হাত ধুয়ে এখন চললো সাধুর বেশে।