‘আমারও একটা পরিবার ছিল, এখন ওই মাটির নীচে চাপা’

| বুধবার , ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৫:২৬ পূর্বাহ্ণ

চারদিক অন্ধকার। কনকনে ঠান্ডা। বরফ পড়ছে। উদ্ধার কাজ ক্রমেই অসম্ভব হয়ে উঠছে তুরস্কে। আর সে কারণে বেড়ে চলেছে মৃত্যুর সংখ্যা। সোমবারের পর থেকে স্বজনহারা হাজার হাজার মানুষ। ২০ বছরের এক ছাত্র হাউহাউ করে কেঁদে বলে উঠলেন, আমারও একটা পরিবার ছিল, ওই মাটির নীচে। তুরস্কের সানিলিউরফা শহরে বাস ওমর এল কুনেইদের। ভূমিকম্পে পরিবারের সকলকে হারিয়েছেন ২০ বয়সী এই ছাত্র। তিনি বলেন, আমারও একটা পরিবার ছিল। এখন ধ্বংসস্তূপের নীচে। ধ্বংসস্তূপে আটকে ছিলেন এক বান্ধবীও। কুনেইদ বলেন, মঙ্গলবার সকাল ১১টা পর্যন্ত ফোনে কথা হয়েছে ওর সঙ্গে। তার পর সব শেষ। আর কোনও উত্তর নেই ওর। ও এখন ওই ধ্বংসস্তূপের নীচেই।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পঞ্চম বার কেঁপে উঠল তুরস্ক। তার জেরে ধসে পড়ল আরও কিছু বহুতল, বাড়ি, হাসপাতাল। আরও হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া হলেন, জখম হলেন। দেশটির হাতে শহরে একটি বহুতলের ধ্বংসস্তূপ থেকে টেনে বার করা হয় ৭ বছরের এক শিশুকে। মুখে, চুলে, জামায় শুধুই ধুলো। উদ্ধারের পর তার প্রথম প্রশ্ন, আমার মা কোথায়? জবাবটা অবশ্যই জানা নেই উদ্ধারকারীদের।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভূমিকম্পের সুযোগে সিরিয়ায় জেল ভেঙে পালাল আইএস জঙ্গিরা
পরবর্তী নিবন্ধনীরবতা আর জীবনচিহ্ন পাওয়ার অপেক্ষা